একশো শতাংশ প্রতিবন্ধী হয়েও উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন থেকে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের অনন্তপুর অঞ্চলের মাহীনগর গ্রামের কেকাই দেবশর্মার ভাগ্যে জুটলো না সরকারী প্রতিবন্ধী ভাতা।মাহিনগর গ্রামের প্রতিবন্ধী কেকাই দেবশর্মার (৭০)বছরের মা চিতি বালা দেবশর্মা প্রতিবন্ধী পুত্র সঙ্গীত শিল্পী কেকাইকে সঙ্গী করে দুয়ারে দুয়ারে গান শুনিয়ে ভিক্ষা করেই জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কেকাই পৃথিবীর আলো দেখতে না পেলেও সঙ্গীতের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করে ফেলেছে।কেকাই এক সাক্ষাৎকারে বলেন অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল বেতারে ভাওয়াইয়া গান গাইবার।কিন্তু তা হয়নি।পরীক্ষা দিয়েছিলাম শিলিগুড়ি বেতারে।
কেকাইয়ের মা চিতি বালা দুঃখ করে জানায় আমার জন্মান্ধ বেটাটা যদি প্রতিবন্ধি ভাতাটা সরকার থেকে পাইত তাহলে আমি মরেও সুখ পেতাম।চিন্তা হয় আমি মরে গেলে আমার বেটা কি করে চলবে?চিতিবালা বলেন গ্রাম পঞ্চায়েতে অনেকবার ছেলের প্রতিবন্ধী ভাতা র জন্য গেলেও আজ পর্যন্ত কিছুই হয়নি বলে দুঃখ করেন। কালিয়াগঞ্জ থেকে ৭কিমি দূর মাহীনগর গ্রাম।সেখান থেকে প্রতিদিন ৭০বছরের বৃদ্ধা চিতিবালা জানান আর পা চলেনা বাপ।কিন্তু কি করবো পেট তো মানেনা।আমাদের অভাবের কথা কেও শোনেনা বাপ। কেও কথা রাখেনা।জীবনের শেষ বেলাতে এসেও একটু শান্তি পেলাম না বাপ।