সামনেই বর্ষাকাল, ফলে নদী পারাপার নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ ইসলামপুর ছথানার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের।উল্লেখ্য ইসলামপুর থানার মাটিকুন্ডা-২ অঞ্চলের ভেলাগাছি, ডেরামারি, পোড়াভিটা, কোনিভিটা, কাঠালগুড়ি ,বড়োগাছিয়া সহ অন্যান্য গ্রাম লাগোয়াএলাকা দিয়ে দলঞ্চা নদী বয়ে যাওয়ার ফলে দীর্ঘদিনের সমস্যায় নদীর দুই পারেবসবাসকারী প্রায় ২০টি গ্রামের কয়েকহাজার সাধারন মানুষ।
এলাকায় রয়েছে একাধিক প্রাথমিক ও জুনিয়ার হাই ও হাইস্কুল সহ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ফলে নদীরওপার থেকে ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে আসতেপ্রতিনিয়ত অসুবিধার সম্মুখীন হয়। বলেরাখা ভালো এই নদীর ওপারের গ্রামগুলি ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা । মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশুনা করতে হলে নদীর এপারে দাড়িভিট হাইস্কুলে আসতে হয় ছাত্রছাত্রীদের ।
জানা যায়, নদীর এপারথেকে ওইপারে বা ওইপার থেকে এইপারে নানান কাজে সাধারন মানুষ, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকাদের গ্রীষ্ম কালেনদীতে যখন জল কম থাকে তখনবাঁশের মাঁচাতে ও বর্ষাকালে নৌকা করেজীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার করতেহয়।
এই সকল মানুষদের এক মাত্র রাস্তাদাড়িভিটের দলঞ্চা নদীর ঘাট।এছাড়া বর্ডার রোড থাকলেও রাতে ব্যবহার করা যায় না ।এ ছাড়া বিএসএফের কোম্পানী বদল হলে দিনের বেলাতেও অনেক ঝক্কি পোহাতে হয় বাসিন্দাদের ।এছাড়া বর্ডার রোড ব্যবহার করতে হলে তাদের প্রায় ৮ কিমি ঘুর পথে যেতে হয় । তাই তারা বর্ডার রোড এড়িয়ে দাড়িভিটের দলঞ্চা নদীর ঘাটই ব্যবহার করেন ।এই বিষয়েএলাকার বাসিন্দা অক্ষয় পাল বলেন, এইব্রিজের দীর্ঘ দিনের সমস্যা বিশেষ করেবর্ষা কালে। দলঞ্চা
নদী কানায় কানায়জলে ভরে যায়, ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েনদী পারাপারের মাধ্যম হিসেবে নৌকাইএক মাত্র ভরসা ফলে মাঝে মধ্যেদুর্ঘটনা ঘটে আর গ্রীষ্মকালে বাঁশেরমাচা দিয়ে নদী পার করতে হয় ছাত্র ছাত্রীসহ সাধারন মানুষকে, কিন্তু প্রশাসনেরকোন হেলদোল নেই।প্রায় ১৫ বছরআগে একবার ব্রিজের জন্য সার্ভে করলেওএখনো পর্যন্ত কাজ হয় নি।
সমস্তরাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা ভোটআসলেই আশ্বাস দেয়, আর ভোট পেরলেআর কারো দেখা নেই তাই এবারওবর্ষায় দুর্ভোগে পড়তে হবে এখানকারসাধারন মানুষকে।আবার সাতভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রামগোপাল পাল বলেন, আমাদের বর্ষারসময় খুব অসুবিধা হয়। বর্ষার সময়নৌকা নিয়ে পার হতে হয় নদী আরগ্রীষ্মের সময় বাঁশের মাচা জীবনের ভয়লেগেই থাকে।এবিষয়ে এলাকার বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন , নদী ব্রীজ করার বিষয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের সাথে কথা হয়েছে ,খুব শীঘ্রই ওই ব্রিজ করা সম্ভব হবে ।