ইচ্ছা শক্তি দিয়েই যে সমস্ত প্রতিবন্ধিকতা কে জয করা যায় তার এক জলন্ত উদাহরণ সৌমিত্র। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী কালিয়াগঞ্জের হাসপাতাল পাড়ার সৌমিত্র রজক ।মনের ইচ্ছা শক্তি আর পড়াশোনার অদম্য বাসনায সকল বাঁধা পেড়িয়ে বি.এ পাস করে
কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে
চাকরি জয়ের স্বপ্ন দেখছেন সৌমিত্র। তাই জীবন যুদ্ধে হার না মেনে সকল প্রতিকুলতার সাথে লড়াই করে স্বপ্ন পূরনে জন্য তিনি দিনরাত্রি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জীবন মানে যুদ্ধ এই কথাটা শারীরিক প্রতিবন্ধী সৌমিত্র রজককে দেখলেই বোঝা যাবে। বি.এ পাস করে সৌমিত্রের ইচ্ছা ছিল স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা।কিন্তু দারিদ্র্যতার কষাঘাতে জর্জরিত সৌমিত্রের স্নাতকোত্তর হওয়ার বাসনা আর পূরণ হয়নি । ছোট বেলা থেকেই সৌমিত্রের দুটো পা এবং হাত দুটো অকেজো। শারীরিক গঠন ও অন্যদের থেকে খানিকটা আলাদা । সৌমিত্রের বাবা ধোপার কাজ করে তার তিন ছেলে ও মেয়ে কে মানুষ করেছেন।সৌমিত্র তার পরিবারের প্রথম সন্তান ।সৌমিত্রের পরে রয়েছে তার এক ভাই ও এক বোন।একদিকে অভাবের সংসারে অন্যদিকে সৌমিত্রের প্রতিবন্ধকতা দুই মিলে গোদে বিষ ফোরার মতো অবস্থা সৌমিত্রের বাবার।সৌমিত্রের বাবা গোপাল রজক জানান ছোটো থেকেই সৌমিত্র শারীরিক প্রতিবন্ধী তার উপর পরিবারের অর্থিক দুরবস্থা ।
ছোটো থেকেই সৌমিত্রের ইচ্ছে শিক্ষকতা করার।কিন্তু বি.এ পাস করার পর টাকার অভাবে তাঁকে বি.এড বা ডি.এডে ভর্তি করতে পারিনি।ধোপার কাজ করে তিন ছেলেমেয়েকে খেয়ে না খেয়ে মানুষ করলেও টাকার অভাবে তাকে উচ্চশিক্ষা দিতে পারিনি।সরকার থেকেও আজ ও কোন রকম সহযোগিতা পায়নি সৌমিত্রের জন্য ।ছেলে বি.এ পাস করেও আজ চাকরির সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে । প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও তার কপালে এখনো পর্যন্ত একটা চাকরি জোটেনি।তবুও হার না মেনে সকাল থেকেই সে বেরিয়ে পরে একটি চাকরির সন্ধানে ।
সৌমিত্র জানায় সে চাকরি করে তার বাবা ও মায়ের পাশে দাঁড়াতে চায় । তাই সকাল হতে না হতেই সৌমিত্র বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে একটি চাকরির সন্ধানে । যাতে সে তাদের অভাবের সংসারে বাবা মা কে দুটো পয়সা তুলে দিতে পারে। সৌমিত্র তার প্রতিবন্ধকতা কে হার মানিয়ে সকাল হতেই পাড়ার দোকান গুলিতে চাকরির ফর্ম ফিলাপে বসে পড়ে । তার লক্ষ ও স্বপ্ন সে পূরণ করতে দিনরাত্রি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
চাকরির সন্ধান করার পাশাপাশি সৌমিত্র তার বাবার লন্ডির কাজেও বাবাকে সাহায্য করে।