মাত্র দেড় ফুট উচ্চ তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সনুর কাছে কোন কোন বাধাই নয়


শনিবার,০৯/০৬/২০১৮
1107

পিয়া গুপ্তা---

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে জীবনের চলার ক্ষেত্রে কোন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনা তা প্রমাণ করে দেখালো  উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের সনুগুপ্তা। মাত্র দেড় ফুট উচ্চতার সনুগুপ্তা সব প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে এবারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫১ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে। সনুর বাড়ি রায়গঞ্জের শক্তি নগর এলাকায়। মোহনবাটি হাই স্কুলের কলা বিভাগের ছাত্র ছিল সে। একদিকে  অর্থ নৈতিক সমস্যা তার উপর শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী। সব কিছুকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাবার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলে। যার সাফল্য হিসাবে সনুI এবারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫১ শতাংশ নাম্বার পেয়ে সাফল্য পেয়েছে। এবারে সনু বাংলায় ৫০,ইংরাজীতে ৪৪, দর্শন ৪৮,রাষ্ট্রবিঙ্গানে ৪০,সংস্কৃত ৬২,এডুকেশন ৫১ পেয়েছে। তার এই সাফল্যে খুশি তার পরিবারের লোকেরা তেমনি খুশি তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরাও।বাবা বাবলু ঘোষের বাড়িতেই একাটি ছোট মুদির দোকান রয়েছে কোন প্রকার দিন যাপন হয় এই দোকানের উপর নির্ভর করে তাদের। সনূর পড়া শুনার খরচ চালানোর মতো সামর্থ ছিল না তার বাবা বাবলু গুপ্তের।কিন্তু প্রতিবন্ধকতা ও আর্থিক অনটন থাকা সত্বেও সনূর পড়াশুনার দিকে কোন খামতি ছিল না। তার পড়াশুনা যাতে বন্ধ না হয়ে যায় সেই কারনে যেমন তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা এগিয়ে এসেছিল তার সাথে সাথে বিভিন্ন স্বেচ্ছা সেবী সংস্থাও এগিয়ে এসেছিল। সনূর বাবা বাবলু গুপ্তা তাকে সাইকেলে বসিয়ে স্কুল ও টিউশনি পড়তে নিয়ে যেত এবং নিয়ে আসতেন। পরীক্ষার সময়য় সনুকে সাইকেলে বসিয়ে ৪ কিলোমিটার  চালিয়ে   পরীক্ষা সেন্টারে পৌছে দিয়েছেন।

সনু জানায়, প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্তেও সে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে আরও উচ্চ শিক্ষিত হতে চায়।সংস্কৃতে অনার্স নিয়ে পড়া শুনা করবার তার ইচ্ছা রয়েছে ।সে সরকারি চাকরি করে মানুষের মতো বাচতে চায়। তার সাফল্যের পিছনে অনেকের সহযোগীতা রয়েছে। তার বাবা তার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন

তাকে সুভেচ্ছাা দিতে তার বাড়িয়ে গিয়েছিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত।  আগামী দিনে তার পড়াশুনার ক্ষেত্রে অর্থ বাধা না হয়ে দারায় সেই কারনে তিবি ১০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করবেন বললে জানান। শুধু তাই নয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি তুষার গুহকে দায়িত্ব দেন তার সমস্ত টিউশন বিনামূল্যে করে দেওয়ার জন্য। তার  সাথে সনুকেে  মিষ্টি ও ফুলের তোরা দিয়ে সুভেচ্ছা জাপন করেন।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট