৯৭.২০ শতাংশ মার্কস পেয়ে রাজ্য পঞ্চম স্থানে মহম্মদ শরিফুল ইসলাম


শনিবার,০৯/০৬/২০১৮
525

ফারুক আহমেদ---

এবছর উচ্চমাধ্যমিকে দারুণ রেজাল্ট করল মেমারীর মামুন ন্যাশনাল স্কুল ৯৭.২০ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্য পঞ্চম স্থান অধিকার করল মহম্মদ শরিফুল ইসলাম। মামুন ন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র মহম্মদ শরিফুল ইসলাম একমাত্র মুসলিম ছাত্র যে দশের মধ্যে জায়গা করে নিতে পেরেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৬। মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ শহরের নিকট গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামের সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা মহম্মদ শরিফুল ইসলাম সকলকেই মুগ্ধ করল মনের মতো রেজাল্ট করে। পিতা রফিকুল ইসলাম মা সিরাজুম মনিরা দারুণ খুশি হয়েছেন ছেলের এই রেজাল্টের খবর শুনে। খুবই বিনয়ী ছাত্র সে, পঞ্চম শ্রেণি থেকেই মামুন ন্যাশনাল স্কুলে পড়াশুনা করে, আবাসিকে থেকেই নিজেকে তৈরী করেছে সে। পতাকা হাউসের কর্ণধার ও শিল্পোদ্যোক্তা মোস্তাক হোসেন-এর জি. ডি. চ্যারিটেবল সোসাইটি মহম্মদ শরিফুল ইসলামের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পঞ্চম শ্রেণি থেকেই আর্থিক খরচ দিয়ে সাহায্য করেছে। মানব কল্যাণে পশ্চিমবাংলার অনন্য পথিকৃৎ মোস্তাক হোসেন এই সংবাদে অত্যন্ত আপ্লুত।

মামুন ন্যাশনাল গার্লস শাখা থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে দিলরুবা ইয়াসমিন। প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৬ । সে ৯৩.২ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করেছে। বীরভূম জেলার মুরারই-এর নিকট সন্তোষপুর গ্রামের গরীব ঘরের সন্তান দিলরুবা ইয়াসমিন। মোস্তাক হোসেন দিলরুবা ইয়াসমিনের পড়ার খরচ বহন করেছে। জি. ডি. চ্যারিটেবল সোসাইটি হাজার হাজার দিলরুবা ও মহম্মদ শরিফুলদের জন্য শিক্ষা প্রসারে এগিয়ে এসে সাহায্যদান করায় এই সব প্রতিভারা বাংলার ও সমাজের মুখ উজ্জ্বল করতে পারছে। মামুন ন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান মোস্তাক হোসেন এবং স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ঐতিহাসিক তথা বক্তা সম্রাট গোলাম আহমাদ মোর্তজা সাহেব রমজানের পবিত্র মাসে এমন সুসংবাদে খুবই আনন্দিত হয়েছেন, যেমনটা হয়েছেন স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। ১২ বছর ধরে নিয়মিত মামুন ন্যাশনাল স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা দারুণ রেজাল্ট করে সকলের মন জয় করে নিয়েছে। বর্ধমান জেলার মধ্যে এই স্কুলটি অন্য স্কুলের মধ্যে অন্যতম ছিল।

এবছর সেরা স্কুলের মর্যাদা পেল মামুন ন্যাশনাল স্কুল। এই স্কুলের ১০০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী সবাই প্রথম বিভাগ, স্টার মার্কস ও তারও বেশি নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যিক পড়ুয়ারা পাশ করে প্রতিবছর। এবছর সবাইকে তাক লাগিয়ে উঠে এলো মেধা-তালিকার পঞ্চম স্থানে। মোস্তাক হোসেন পরিচালিত জি ডি স্টাডি সার্কেল অন্তভুক্ত সমস্ত মিশন স্কুল দারুণ রেজাল্ট করছে এবং বাংলার দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে আসছে। শিক্ষা প্রসারে মোস্তাক হোসেন ইতিমধ্যে ১৩৭ কোটির বেশি টাকা দান করেছেন বলেই পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ আজ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বাংলার কল্যাণে কাজ করছেন। রাজ্যসরকার মোস্তাক হোসেনকে কুর্নিশ জানাক ….।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট