ছায়ানট কলকাতার আয়োজনে, রাজারহাটের নজরুলতীর্থে, শুরু হয়েছিল নজরুল মেলা ২০১৮ চলল তিনদিন। পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন সোমঋতা মল্লিক। মেলা চলল ৩রা জুন অবধি, প্রতিদিন দুপুর দুটো থেকে রাত নটা পর্যন্ত চলে এই নজরু মেলা। দুই বাংলার দুই শতাধিকেরও বেশি শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন এই মেলাতে। বিশেষ আকর্ষণ ছিল— দুশো কণ্ঠে ‘বিদ্রোহী’ কবিতাপাঠের মাধ্যমে মেলার শুভ উদ্বোধন হয়। এছাড়াও, কোয়েস্ট ওয়ার্ল্ড থেকে প্রকাশিত হল ‘ইতি নজরুল’ অডিও-অ্যালবামটি। দুই বাংলার ৪১ জন শিল্পী পাঠ করেছেন কাজী নজরুল ইসলামের ৫৭টি পত্র।
মেলাতে সঙ্গীত-কবিতাপাঠ-নৃত্যানুষ্ঠান ছাড়াও থাকছে চিত্র-প্রদর্শনী, সেমিনার ও সিডি-বইয়ের সম্ভার। বিকেল ৫টায়ে উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন শ্রী দেবাশীষ সেন (হিডকোর চেয়ারম্যান), কল্যাণী কাজী, সত্যম রায়চৌধুরী, প্রদীপ ঘোষ, অলকানন্দা রায়, দেবাশীষ বসু প্রমুখ। এছাড়াও ওপার বাংলা থেকে মোঃ:আব্দুর রাজ্জাক ভূঁইয়া, ফতেমা তুজ-জোহরা, বুলবুল মহলানবীশ, ড. নাশিদ কামাল, কামরুল ইসলাম, প্রমুখ উপস্থিত হয়ে নজরুল মেলা ২০১৮ সার্থক প্রয়াসে নিয়ে যেতে এগিয়ে আসেন।
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখযোগ্য। বাঙালি মনীষার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন নজরুল। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ– দুই বাংলাতেই তাঁর কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।
পদ্মভূষণ ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা। ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক এই পুরস্কার প্রবর্তিত হয়। ভারতের অসামরিক সম্মাননাগুলির মর্যাদাক্রম অনুসারে এই সম্মাননার স্থান ভারতরত্ন ও পদ্মবিভূষণের পরে, কিন্তু পদ্মশ্রীর আগে। জাতির প্রতি বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০০৯ সাল অবধি, ১০৬৪ জন এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার বা স্বাধীনতা পুরস্কারবাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক।
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ এই পদক প্রদান করা হয়ে আসছে। এই পুরস্কার জাতীয় জীবনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠিকে প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ব্যক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনন্য উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকেও এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে।
একুশে পদক পুরস্কার বাংলাদেশের জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান।
১৯৭৬ সালে সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে কাজী নজরুল ইসলামকে “একুশে পদক ১৯৭৬” প্রদান করা হয়।