উত্তর দিনাজপুরের আম যাচ্ছ বিহার,বাংলাদেশ সহ প্রতিবেশী রাজ্যে


সোমবার,২৮/০৫/২০১৮
1250

পিয়া গুপ্ত---

চলতি মরশুমে উত্তর দিনাজপুর জেলায় আমের রেকর্ড ফলন হয়েছে। জেলা উদ্যান পালন দপ্তর সেই আম বাংলাদেশের বাজারে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি এখানকার আম বিহার ও ঝাড়খণ্ডে পাঠানো হচ্ছে।জেলার ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর,সূর্যাপুরী প্রভৃতি আমের সুখ্যাতি রয়েছে।সেই সব আমের ফলন এবারে খুবই ভালো হয়েছে। তবে বাংলাদেশে মূলত ল্যাংড়া ও হিমসাগর আম পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবার  ন্যাশনাল হর্টিকালচারবোর্ড ও রাজ্য উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিকেরা উত্তর দিনাজপুর জেলায় এসে রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ প্রভৃতি এলাকার বেশ কিছু বাগান ঘুরে দেখেন। জেলা উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানকার আম, লিচু,লেবুর বাগান দেখে আধিকারিকরা খুশি হয়েছেন।

জেলায় আমের ভালো ফলন নিয়েও তাঁরা উৎসাহিত। জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক দীপক সরকার বলেন, চলতি মরশুমে জেলায় রেকর্ড পরিমাণ আমের ফলন হয়েছে। এখানকার আম বাংলাদেশে আম পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি এখান থেকে বিহার,ঝাড়খণ্ডেও আম যাবে। ন্যাশনাল হর্টিকালচার বোর্ডের কনসালট্যান্ট জগমোহন রেড্ডি দিল্লিথেকে ও রাজ্য উদ্যান পালন দপ্তরের অ্যাসিট্যান্ট ডিরেক্টর এস এস কুর্তি জেলায় এসে ছিলেন। তাঁরা বেশ কিছু আম, লিচু ও লেবুর বাগান ঘুরে দেখেছেন। বাগান ও ফলন দেখে তাঁরা খুশি। তাঁরা নানা পরামর্শ দিয়েছেন ও সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। আগামী দিনে যাতে জেলায় আমের উৎপাদন আরও ভালো হয় তার জন্য আমরা এখন থেকেই কাজ শুরু করেছি। উদ্যান পালন দপ্তর জানিয়েছে, উত্তরদিনাজপুর জেলার ন’টি ব্লকেই কম-বেশি আম উৎপন্ন হয়। তবে রায়গঞ্জ,কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহারে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান রয়েছে।গোয়ালপোখর-১ ব্লকের মালকোটে সূর্যাপুরী আমের ফলন ভালো হয়।

গতবছর জেলায় ৩০-৩৫ হাজার মেট্রিক টনআম উৎপাদন হয়েছিল। এবারে সেই পরিমাণ অনেকটাই ছাপিয়ে৫০ হাজার মেট্রিক টন আম হয়েছে।মূলত, আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারেআম গাছে প্রচুর মুকুল এসেছিল।কালবৈশাখীর দাপট তেমন না থাকায় আম সেভাবে ঝরেও পড়েনি। এছাড়াও রোগ পোকার আক্রমণ সেভাবে না হওয়াতে এখনও পর্যন্ত জেলার সব ক’টি ব্লকেই আমের ফলন খুব ভালো রয়েছে।বিভিন্ন জায়গার পাইকারি ক্রেতারা আমকেনার জন্য আনাগোনা শুরু করেছেন।জেলার ল্যাঙডা ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট