ফের রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হলো বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের নামে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন রায়গঞ্জ ব্লকের বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাড়িয়া এলাকায় অশান্তির ঘটনায় নাম জড়ানো হয়েছে মোহিত সেনগুপ্তের। খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মোহিত বাবু সহ আরও দশ জনের বিরুদ্ধে। এদিকে এই অভিযোগ দায়ের হতেই জেলা কংগ্রেসের দাবী, রায়গঞ্জ পুরসভা ভোটের আগেও বিধায়কের নামে মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। শাসক দলে যোগ দেওয়ানোর জন্যই বারংবার তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয় জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাড়িয়া এলাকায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী ও তাঁর সঙ্গীদের উপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। ঘটনায় তৃণমূল কর্মী রাকেশ সূত্রধরের মৃত্যু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দুটি চারচাকা গাড়ি ও প্রায় ১৫টি মোটর বাইক। এরপরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী অনুপ কর মোহিত সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন রায়গঞ্জ থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে ৩০২, ৩২৩, ৩২৫, ৩৪১, ১০৯, ২৫, ২৭ সহ বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র আইন ও ৩৪ বিস্ফোরণ আইনে মামলা রুজু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ বলে জানা গেছে।
জেলা কংগ্রেস নেতা পবিত্র চন্দ জানিয়েছেন, বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তকে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানোর জন্য মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। এর আগেও রায়গঞ্জ পুরসভা নির্বাচনের সময় চেষ্টা করেছিল। তবে সেইবার সফল না হওয়ায় ফের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিধায়ককে। পবিত্রবাবুর দাবী, মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যাবেন না মোহিত বাবু।এবার যে মামলা তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে তাতে বিধায়ক কোনওভাবেই জড়িত নন। কংগ্রেসের সাথে সেদিন কোনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনে নামার কথাও জানিয়েছেন পবিত্র বাবু।
উল্লেখ্য, এর আগে রায়গঞ্জ পুরসভায় বিগত বোর্ডের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন পুরপ্রধান মোহিত সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করেন পুরসভার প্রশাসক তথা রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক টি এন শেরপা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মোহিত বাবুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৫১১ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।