মূখ্য মন্ত্রীর ঘোষনা অনুসারে মৃত প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়ের পরিবারের হাতে পাচঁলক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দিল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতন পাচঁ লক্ষ টাকার চেক রায়গঞ্জের সুদরর্শনপুর এলাকায় অবস্থিত রাজকুমার রায়ের বাড়িতে গিয়ে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা মৃত রাজকুমার বর্মনের স্ত্রী অর্পিতা বর্মনের হাতে তুলে দেন চেক। এবং রাজ্য সরকার তাদের পাশে সব সময়ের জন্য পাশে আছে এবং থাকবে এই আশ্বাস দেন অতিরিক্ত জেলা শাসক শুভেন্দু মন্ডল। এদিন উপস্থিত ছিলেন করনদিঘি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সইদুল রহমান।
আর্থিক সাহায্য পেয়ে স্ত্রী অর্পিতা বর্মন জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফোন করে তাঁর সাথে কথা বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে তিনি সন্তুষ্ট। পাশাপাশি অর্পিতা দেবী বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরকারি চাকরির দাবী করেছেন তিনি। এদিকে অতিরিক্ত জেলাশাসক শুভেন্দু মন্ডলের হাত থেকে চেক নেওয়ার পর তাঁর কাছেও সরকারি চাকরির দাবী জানিয়েছেন অর্পিতা দেবী। এবং মহকুমা শাসক নিগ্রহের ঘটনায় দুই শিক্ষকের মুক্তির দাবী জানান অর্পিতা দেবী।
অপরদিকে অতিরিক্ত জেলা শাসক শুভেন্দু মন্ডল জানান,মূখ্যমন্ত্রীর ঘোষনা অনুসারে জেলা শাসকের নির্দেশ অনুসারে মৃত রাজকুমার রায়ের স্ত্রী অর্পিতা বর্মনকে ৫ লক্ষ টাকা চেক তুলে দেওয়া হয়। আর তিনি দাবি করেছেন তাকে একটি চাকরী ও আন্দোলনের জেরে গ্রেপ্তার হওয়া ২ শিক্ষককে মুক্ত করা হোক। কিন্তু বিষটি তার হাতে কিছুই নেই। তিনি জেলা শাসককে জানাবেন।
এদিকে রাজকুমার রায়ের করনদিঘি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সইদুল রহমান জানান, রাজ্য সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা ভালো। তার সাথে সাথে যা সঠিক ভাবে রাজকুমারের রায়ের মৃত্যুর তদন্ত হোক। এবং সে শিক্ষকদের অন্দোলন চলছিল সেদিন আবেগ তারিত হয়ে শিক্ষককেরা মহকুমা শাসকের উপরে ক্ষোভে ফেট পড়ে। সেই মহকুমা শাসককে অন্য ভাবে উদ্যোগ গ্রহন করলে ভালো হত। তাদের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যে সব ধারায় মামলা করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাতে শিক্ষকদের ক্ষতি হবে
শিক্ষকরা সকলে শিক্ষিত ও শান্ত। আজ এই সব বিষয় নিয়ে জেলা শাসকের সাথে দেখা করা হবে।