জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত এখন তৃণমূলের দখলে। ফল ঘোষণারর পর শনিবার জেলা জুড়ে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে দলীয় কর্মী সমর্থকরা। সবুজ আবির উড়িয়ে বিজয় মিছিল বের করা হয় কুশমণ্ডি, বংশীহারী, গঙ্গারামপুরে।
বাম দুর্গ বলেই বরাবরই পরিচিত ছিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। সেই বাম দুর্গে ২০১১ সালেই হানা দেয় তৃণমূল। এরপর গ্রাম পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে বামদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হতে শুরু করে। তারপর ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম দুর্গ একরকম নিশ্চিহ্ন করে ফুটে উঠল ঘাসফুল। আগামী লোকসভা থেকে বিধানসভা আসনে বামফ্রন্ট প্রার্থী দিতে পারবে কতটা, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে এখন দলের অন্দরে। ২০১১ সাল থেকে উত্থান শুরু। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তৃণমূলকে। বিধানসভা থেকে লোকসভা, পঞ্চায়েত থেকে পৌরসভা এককভাবে দখল করে তৃণমূল। মাঝে ২০১৬ সালের বিধানসভায় শুধু ছন্দপতন ঘটে তৃণমূলের। যদিও বছর ঘুরতে ঘুরতে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে তৃণমূল।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামফ্রন্টকে একরকম নিশ্চিহ্ন করে এককভাবে জেলা পরিষদ ও আটটি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে তৃণমূল। এছাড়াও জেলার ৬৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৪১টি তৃণমূল, ৮টি বিজেপি ও ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়। অন্যদিকে জেলার মধ্যে গঙ্গারামপুর ব্লক এককভাবে জয়লাভ করে। এদিকে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে একরকম বিরোধীশূন্য করে দখল করে নেয় তৃণমূল। নির্বাচনের আগেই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতিও যায় তৃণমূলের দখলে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের যে ফলাফল তার পুরো চিত্রটাই জেলা জুড়ে পালটে যায়। অন্যদিকে ভোটের নামে প্রহসন করা হচ্ছে এবং গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। সন্ত্রাস চালিয়ে ও ছাপ্পা ভোট দিয়ে এই জয় এসেছে। মানুষ নিজেদের মতামত দিতে পারেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারলে আজ রায়টা অন্য হত।
এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র জানান, মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে তৃণমূলকে এবারও বিপুল ভোটে জয়ী করেছে সাধারণ মানুষ।