সম্প্রীতির পক্ষে, বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াই করে শুভেন্দু অধিকারী বাজিমাত করলেন পঞ্চায়েত ভোটে

ঐতিহাসিক ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষ সংগঠক ও পরিবহন দফতরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মুর্শিদাবাদ, মালদা ও নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুর সহ গোটারাজ্যেই সর্বত্র ঘাসফুল ফোঁটাবেন বলেছিলেন, সেই শপথ তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন। তিনি নয়া ইতিহাসও রচনা করলেন পূর্ব মেদিনীপুর, মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার যেদিকে তাকাবেন দেখবেন তাঁর নেতৃত্বে পঞ্চায়েত ভোটে শুধুই ঘাসফুলের জয়জয়কার হয়েছে।
ঐতিহাসিক ঘোষণা করেছিলেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তিনি বলেছিলেন বিরোধী শুন্য করতে পারলেই হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ অন্তগর্ত সেই সব পঞ্চায়েত হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ থেকে পাবে বছরে ৫কোটি টাকা। তিনি তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা রাখলেন বিরোধী শুন্য পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ গঠোন করে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী শুন্য গ্রামপঞ্চায়েতকে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ৫ কোটি টাকার কাজও দেওয়া হবে। একবছরে এই টাকা দেওয়া হবে। পাঁচবছর তো পাবেনই। এই ঘোষণা করেছিলেন হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় পরিবহন দফতরের মন্ত্রী শ্রী শুভেন্দু অধিকারী।

মহিষাদল রাজবাড়ি প্রাঙ্গনে পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা করেছিলেন। কোন গ্রামপঞ্চায়েতে এই টাকা দেওয়া হবে তা স্পষ্ট করে বলেননি তিনি। তবে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের টাকা পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, এগরা, হলদিয়া মহকুমার উন্নয়নের কাজে লাগানো হয়। এছাড়াও এবারের বিধানসভা অধিবেশনে একটি বিল পাশ হয়েছে। যেখানে তমলুক মহকুমার দুটি ব্লক, খেজুরি ১, খেজুরি ২, নতুন করে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।

পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে এমন ব্যক্তিদের প্রার্থী করুন যাঁরা সাধারণ মানুষকে সময় দেন। যাঁদের গ্রহণযোগ্যতা আছে। কারণ উন্নয়নের জন্যই মানুষ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের প্রতি আস্থা রেখে একের পর এক নির্বাচনে আমাদের পাশে থেকেছে।” শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “এলাকায় এলাকায় মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের চাহিদার কথা শুনুন। তাঁরা কী বলছে জানুন। সেই অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। আমাকে কোথাও যেতে হলে জানাবেন উপস্থিত থাকব।” তিনি পশ্চিমবঙ্গের প্রতি প্রান্তে তাঁর দলের সদস্যদেরকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন পঞ্চায়েত ভোটে সর্বত্র জয় ছিঁনিয়ে নিতে। তিনি পেরেছেন তাঁর দেওয়া কথা রাখতে। মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলার মানুষ দেখল অধীর রাজের পতন।

‘মানুষ বড় কাঁদছে, তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও’ লিখেছেন কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। বুদ্ধি, বিবেক ও সংবেদনশীল মনের কাছে এই আমাদের প্রার্থনা। রানিগঞ্জ আসানসোলে যে সঙ্কট সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল আমরা দেখেছি সে সঙ্কট সারা দেশের মানুষকে বড় পীড়া দিচ্ছে। সারা ভারতের মানুষ বিভাজনের রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থেকে বেরিয়ে নতুন ভাবে বাঁচতে চাইছেন। আসানসোলের ইমাম পুত্রশোকে মুহ্যমান হয়েও তিনি তবু মাথা তুলে উঠে দাঁড়ালেন, বললেন, না কোনও প্রতিহিংসা নয়। এই শোক ও সংকল্পের উদ্ভাসন থেকে শুরু হোক আমাদের তিমিরবিনাশের প্রণতি। আমরাও জীবনানন্দের মতো দু ‘ দণ্ডের শান্তি চেয়েছিলাম। শান্তি চাই এবং সারাজীবন চাইব।
সম্প্রীতির পক্ষে, বিভাজনের বিরুদ্ধে বিশিষ্টজনের সভা ও আলোচনার প্রয়াসকেও উৎসাহ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ। আমরা দেখেছি প্রকৃত জননেতার মতো হয়ে দলমত নির্বিশেষে সর্বদা মানুষের কল্যাণে হাত বাড়িয়ে পাশে থেকেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে বাংলার মানুষ বামদের পতন সুনিশ্চিত করেছিল। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ বাম, বিজেপি ও কংগ্রেসের পতন সুনিশ্চিত করেছে পঞ্চায়েত ভোটে।

নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, কবীর সুমন, বিভাস চক্রবর্তী, শুভাপ্রসন্ন, মনোজ মিত্র, গৌতম ঘোষ, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, অভিরুপ সরকার, সুবোধ সরকার, হোসেনুর রহমান, আবুল বাশার, ত্রিদিব ব্যানার্জি, কৌশিক গাঙ্গুলী, রঞ্জন বন্ধ্যোপাধ্যায়, কৌশিক রায়, গৌতম পাল, শামীম হায়দার, মনোজিৎ মন্ডল, মহঃ আলি, ফারুক আহমেদ সহ বহু বিশিষ্ট মানুষ সম্প্রীতির পক্ষে, বিভাজনের বিরুদ্ধে থেকে কলম ধরেছেন এবং পথে নেমেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেও অনেকে দাঁড়িয়েছেন বিজেপিকে রুখতে। এই বাংলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম জায়গা এখানে বিভাজনের রাজনীতি রুখে দিতে মানুষ প্রস্তুত হয়েছেন এটাই আশার আলো।
বাংলার কল্যাণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রাও তৈরী আছেন বিজেপিকে আর বাড়তে না দিয়ে বাংলা থেকে মুছে ফেলতে। তাই আপনিও এগিয়ে আসুন বাংলার কল্যাণে সর্বত্র বিজেপিকে রুখুন আর এই শপথ নিন বাংলায় আর কখনও দঙ্গা হতে দেব না।

admin

Share
Published by
admin

Recent Posts

তাৎক্ষণিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস

পশ্চিম বাংলার একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি আসন্ন 📍 কলকাতা, ১৭ মার্চ: পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত।…

2 weeks ago

স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী

আজ, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, আমরা উদযাপন করছি স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী। এই দিনটি কেবল তাঁর…

3 months ago

কবি এ কে সরকার শাওনের প্রথম উপন্যাস “অতল জলে জলাঞ্জলি” প্রকাশিত।

১০ জানুয়ারি ২০২৫ এর বই মেলা উপলক্ষে বাজারে এসেছে কবি এ কে সরকার শাওনের প্রথম…

3 months ago

উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া আপডেট

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চল ও সিকিমের আবহাওয়া রইবে বিশেষভাবে পরিবর্তনশীল। পার্বত্য অঞ্চল ও…

3 months ago

সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের উপর কড়া নির্দেশ জারি

রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে কর্মরত চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশিকা জারি করল…

3 months ago

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ আজ, অপেক্ষা ভোটের দিন ঘোষণার

জাতীয় নির্বাচন কমিশন আজ দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে। দুপুর ২টায় এক সাংবাদিক সম্মেলনের…

3 months ago