জেলে বসেই পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জয়লাভ আরাবুলের। পাওয়ার গ্রিড এলাকার ভাঙড় ২ ব্লকের পোলেরহাট ২ জিপির ১৭ নং আসনে তিনি প্রার্থী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জমি, জীবিকা, পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম। আরাবুল ইসলাম তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বিকে ২২৬৫ ভোটের বিশাল ব্যাবধানে পরাজিত করে রেকর্ড গড়েন।
উল্লেখ গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গ ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঠিক তার আগের দিন জমি কমিটির হাফিজুল রহমান দুষ্কৃতির গুলিতে খুন হন। অভিযোগের তীরে এসে পড়ে আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। খবর পৌঁছায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি জেলা পুলিশ কে নির্দেশ দেন আরাবুল কে গ্রেফতার করতে। সারা ভাঙড় তৎক্ষণাৎ পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। কোথাও আরাবুল কে না পেয়ে তাঁকে ফেরার ঘোষণা করে পুলিশ। পরবর্তী তে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্যাগ করে আরাবুলের বাড়ির পিছন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন বারুইপুর আদালত ১০ পুলিশ হেফাজতে পাঠায়। বর্তমানে তিনি ভাঙড় থানার লক আপয়েই রয়েছেন।
এদিকে আরাবুলের ছেলে হাকিমুল ইসলাম ও ১২৮৭ ভোটের বিরাট ব্যাবধানে জয়ী হয়েছেন। এর আগে জেলা পরিষদ আসনে হাকিমুল পত্নী তথা আরাবুলের বউমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিলেন। আরাবুলের বিরাট জয়ে খুশি তাঁর অনুগামীরা।আরাবুলের জয় প্রসঙ্গে পুত্র হাকিমুল ইসলাম বলেন, এই জয় মানুশের জয়, এই জয় আরাবুল ইসলামের জয়,এই জয় সততার জয়। আরাবুল ইসলাম কে যে ভাঙড়ের মানুষ চায় তা আরো একবার প্রমাণ হয়।