বহু প্রতিক্রিয়ার পর ভাঙড়ের জয়ের হাসি হাসল জমি কমিটির ।এই বিধানসভা এলাকায় দুটি ব্লক। ভাঙড়-১ ও ভাঙড়-২। কেবলই ভাঙড়-২ ৭৭ জেলা পরিষদের মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা র ছেলে মোসতাক আহমেদ ও দীর্ঘ দিনের সিপিএমের তুষার ঘোষ র স্ত্রী পরতীদনডী করে শেষ পর্যন্ত তাকে পরাজয় স্বীকার করে নিতে হয় ।অন্যদিকে পোলের হাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ‘জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি’ ৮ আসনে প্রচুর লড়াই করে বহু প্রতিবন্ধকতা পার হয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে হোয়াটস্ আ্যপ মাধ্যমে প্রার্থীর নমিনেশন জমা দিতে পেরেছিলেন।আর নির্বাচনী সংগ্রামে হাফিজুর রহমান মোল্লা শহীদ হন। প্রার্থী এবং প্রথম শহীদ মফিজুল খানের ভাই এন্তাজুল খান গুরুতর আহত হন। বহু সাধারণ গ্রামবাসী আহত হন এবং সন্ত্রাসের স্বীকার হন।
নির্বাচনে ৫টি আসনে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হতে পারলেও বাকী ৩ আসনে দুষ্কৃতী, শাসকদল এবং পুলিশ প্রশাসনের যোগসাজশে বুথ দখল হয়। সাধারণ ভোটদাতা ভোট কেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে পৌঁছাতে পারেন নি।অভিযোগ জমি কমিটির ।
যে ৫টি আসনে সাধারণ মানুষ ভোটদান করেছেন, সেই সব আসনে ‘জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি’র মনোনীত প্রার্থীরা বিপুল সমর্থনে জয়যুক্ত হয়েছেন।
জয়ী আজিজুল রহমান বলেন, এ জয় মানুষের জয়। ধারাবাহিক লাগামছাড়া ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জয়।
জমি কমিটির অন্যতম নেতা অলীক চক্রবর্তী বলেন, “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জয়।”
আরাবুল পুত্র হাকিমুল বলেন,”বিরোধীদের জয়ের হাসির কারণ নেই, আবার ভোট হলে আমরাই জিতবো ”
‘জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি’ পক্ষ থেকে তুড়িমেড়ে ওই দাবী উড়িয়ে দেন।আবার ভোট হলে আমরাই সবকটিতে বিজয়ী লাভ করব।মানুষ কার সঙ্গে আছে সেটা আরো একবার প্রমাণ হয়ে যাবে ।