ইসলামপুর: স্বাধীনতার সত্তর বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বহু বাড়িতেই নেই শৌচাগার।ফলে ভোর হতে না হতেই প্রকৃতির ডাকে মাঠে ময়দানে গ্রামীন এলাকার সাধারণ মানুষকে প্রাতঃকৃত্য সারতে হচ্ছে।আবার কোনও কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতে নয়শ টাকা জমা দিয়েও ওই প্রকল্পের শৌচাগার জোটেনি বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই বিষয়টিই নির্বাচনী ইস্যু হয়ে উঠেছে ইসলামপুর ব্লকের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এইভাবেই প্রতিদিন পরিবেশ দূষণ হচ্ছে গ্রামে।লাগাতার এই দূষণের জেরে রীতিমতো বিপর্যস্ত স্বাভাবিক পরিবেশ।
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে টাকা জমা করা সত্ত্বেও শৌচাগার না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার ভোটাররা। অর্থ জমা করেও নূন্যতম পরিষেবা না পেয়ে চরম সমস্যায় এলাকার বাসিন্দারা।তাদের অভিযোগ,স্বাস্থ্য সম্মত শৌচাগার তৈরির জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক মানুষ নয়শ টাকা করে ওই সরকারি প্রকল্পে জমা দিলেও আদৌ তা গড়ে ওঠেনি গত দুইবছরে।সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পঞ্চায়েতের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করা হলেও বাস্তবায়ন হয়নি ওই প্রকল্পের।এমনকি কেন তৈরি করা হচ্ছে না শৌচাগার তাও পরিষ্কার নয় কারোর কাছে। তাই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর, পাঁচ ডিমটি,কাঁদাখোওয়া,বাঁশ বাড়ি সহ একাধিক গ্রামে শতকরা আশি শতাংশ মানুষই শৌচাগার না পেয়ে মাঠে মলমূত্র ত্যাগ করে বলে স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ।
এর জেরে ওই সব এলাকায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূষণ।বড়দের দেখে বাড়ির ছোটরাও অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে ।গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের তরফে তার স্বামী বিজয় সিং জানান,ওই প্রকল্পে দালাল চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেরই টাকা খোওয়া গেছে।শৌচাগার করে দেবার নামে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ।উপভোক্তাদের কাছে রিসিভ কপি চাইলে তারা তা দেখাতে পারেনি। এলাকায় যারা সরাসরি দপ্তরে গিয়ে টাকা জমা দিয়ে রিসিভ কপি নিয়েছে তাদের অনেকেরই কাজ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।ইসলামপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি হাজী মুজাফফর হোসেন জানান,নামেই উন্নয়ন।আদতে এলাকার বাসিন্দাদের ন্যূনতম পরিষেবাই জোটেনি।অথচ এটা খুবই প্রয়োজন ছিল।সিপিএমের ইসলামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস জানান,উন্নয়ন থমকে আছে ওই পঞ্চায়েতে।গত পাঁচ বছরে আদৌ কোনও কাজ হয়নি