পিয়া গুপ্তা ,রায়গঞ্জ : সিপিএমের 22 নং ও কংগ্রেসের ২১ নম্বর জেলা পরিষদ দুই প্রার্থী ও তাদের পরিবার কে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। একই দিনে বাম ও কংগ্রেসের দুই জেলা পরিষদের প্রার্থীকে অপহরণ করার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রায়গঞ্জে।
জেলা সিপিএমের অভিযোগ, পঞ্চায়েত মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দিত শাসক দলের দুষ্কৃতীরা তাদের প্রার্থী আশা পাল ও তার স্বামী রঞ্জিত পালকে।কিন্তু তারা তা না করায়
প্রার্থী সহ তাঁর পরিবারকে অপহরণ করা হয় বলে জানান রঞ্জিত পালের দাদা উত্তম পাল।উত্তম পাল জানান, আমার ভাই রঞ্জিত পাল রায়গঞ্জ এর সোহারই মোড়ের একটি পাউরুটির বেকারি কারখানায় কাজ করে নিত্য দিনের মতো বুধবার সে কাজ য়ায় দিন শেষে বাড়ী ফেরার পথে কয়েকজন দুষ্কৃতী ধারালো আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় ভাই এর উপর। রঞ্জিত পালের স্ত্রী ও কন্যা সন্তান কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বার বার চাপ দিতে শুরু করে ।উত্তম বাবু জানান দুষ্কৃতীরা তার ভাই রঞ্জিত পাল তার ভাইয়ের স্ত্রী অর্থাত্ জেলা পরিষদের প্রার্থী আশা পাল ও তাদের একটি কন্যা সন্তান কে অপহরণ করে।
দুষ্কৃতীরা রায়গঞ্জ এর সোহারই মোড় এলাকার কালী মন্দিরের সামনে থেকে একটি নম্বর বিহিনসাদা গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় তাদের । ঘটনার পর রঞ্জিত পালের সাথে এক বার ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। অল্প সময়ে তখনই ঘটনা জানতে পারি এরপর একাধিক বার ফোনে চেষ্টা করেও থেকে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারকে অপহরণ করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায় নি।
সিপিএম এর নেতা উত্তম বাবুর অভিযোগ, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার না করলে ওই দুষ্কৃতীরা প্রার্থী ও তাঁর পরিবারকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।
বুধবার এই ঘটনার পরে বৃহস্পতিবার ঠিক একই ভাবে সকাল থেকেই 21 নং জেলা পরিষদের কংগ্রেসের প্রার্থী লিয়াকৎ আলির বাড়ির সামনে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা ঘাটি গেড়ে বসেছিল। জেলা পুলিশ ও প্রশাসনকে বারংবার খবর দেওয়া হলেও কোনও রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি তাঁরা। এরপর বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রার্থী ও তাঁর স্ত্রীকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। কংগ্রেস নেতা পবিত্র চন্দ বলেন, এটা সন্ত্রাসের নতুন দিগন্ত। মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে জন্য বাধ্য করার জন্যই অপহরণ করা হয়েছে লিয়াকৎ আলিকে। পবিত্র বাবুর অভিযোগ, এদিন সকাল থেকেই দুষ্কৃতীরা ওই প্রার্থীর বাড়ির সামনে সশস্ত্র অবস্থায় জড়ো হয়েছিল। জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারকে ঘটনা বারংবার জানানো হলেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমরা এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি।
এদিকে দুই অপহরণে অভিযোগ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এই দুই ঘটনায় প্রার্থী ও তাদের পরিবারকে অপহরণে দাযে বৃহস্পতিবার বিকালে সিপি এম থেকে এই দুই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন।বৃহস্পতিবার বিকেলে শিলিগুড়ি মোড়ে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল সহ জেলার অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রায় আধ ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখার পর অবরোধ তুলে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে সিপিএম। সিপিএমের অভিযোগ, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা দলের প্রার্থীদের অপহরণ করছে।