বাংলা এক্সপ্রেস: পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের এক কর্মীর বিরুদ্ধে দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক বিশ্বজিত্ সরকারকে মারধর ও মোবাইল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সরকারি কর্মী শুভাশিস ভট্টাচার্যকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে উত্তর দিনাজপুর প্রেস ক্লাব।অস্ত্র নিয়ে রামনবমীর মিছিলে অংশ গ্রহণ করায় এক সরকারি কর্ম চারীকে শোকজ করেছিলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসক আয়েষা রানী।সেই খবর টি প্রকাশিত হওয়ায় সাংবাদিক কে রাস্তায় ফেলে বেধরক মারধোর করলেন শোকজ হওয়া ওই বেসরকারি কর্মী ।
জানা বুধবার রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর কালীবাড়ি এলাকায় সাংবাদিক বিশ্বজিত্ সরকারকে মারধর করার পাশাপাশি তার মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। বিশ্বজিতবাবু রায়গঞ্জ থানায় শুভাশিস ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বেধরক মারের জন্য মাথায় ও ঘাড়ে চোট পাওয়ায় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে তাকে প্রাথমিক চিকিত্সা ও স্ক্যান করেন চিকিৎসকেরা।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ রামনবমীর মিছিলে অস্ত্র নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন শুভাশিসবাবু। বিশ্বজিৎ বাবুর ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়ে এবং পরদিন বিভিন্ন পত্রিকায় ছবি সহ সেই খবর প্রকাশিত হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুভাশিসবাবু সহ আরও কয়েকজনকে কারণ দর্শানোর জন্য চিঠি পাঠানো হয় বলে জানা যায়। এই ঘটনার পর থেকেই ক্ষুব্ধ শুভাশিসবাবু বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ সাংবাদিক বিশ্বজিৎ সরকারের। বিশ্বজিৎ বাবুর দাবি, কোন সরকারি কর্মী এভাবে সশস্ত্র মিছিলে যোগদান করতে পারেন না।
কিন্তু তিনি তা করেছেন।
বুধবার দেবীনগর এলাকার রাস্তায় দু-জন মুখোমুখি হওয়ার পরই শুভাশিসবাবু মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এবং ওই সাংবাদিককে বেধরক মারধর শুরু করেন। বিশ্বজিৎ বাবুর মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তর দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সদস্যরা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন ও শুভাশিসবাবুকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার জন্য রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রেস ক্লাবের সম্পাদক অলিপ মিত্র জানান, সাংবাদিককে মারধর ও মোবাইল ভাঙচুর করে শুভাশিসবাবু সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছেন। অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করা না হলে জেলা জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে উত্তর দিনাজপুর প্রেস ক্লাব