পিয়া গুপ্তা উত্তর দিনাজপুর: গ্রীষ্মের দাবদাহ গরমে আমরা প্রতিনিয়ত যা খাচ্ছি এর মধ্যে তরমুজ উল্লেখযোগ্য। তরমুজ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি গুণেও ভরপুর। শহর থেকে গ্রামগঞ্জে তরমুজ সবার কাছে বেশ জনপ্রিয়। তরমুজে প্রচুর পরিমাণ জল থাকে। এছাড়াও দাম কিছুটা কমের কারণে সবাই গরমে তরমুজ খেতে পছন্দ করে। দেশের উপকূলেও বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় এই ফলের চাষ করা হয়। বৈশাখ মাসে তরমুজের চাহিদা সব থেকে বেশী। কারণ একদিকে বাঙালীদের মঙ্গলচন্ডি পূজোর শ্রেষ্ঠ ফল অন্য দিকে প্রচন্ড গরমে বাজার গুলিতে এই ফলের প্রতি চাহিদা বেশী থাকে।
তাই ব্যবসায়ীরা কাঁচা-পাকা তরমুজ ট্রাক ও ট্রলার ভর্তি করে পাইকারি বাজারসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছে। লাল ও মিষ্টি তরমুজের চাহিদা বাজারে সব থেকে বেশী। তবে পাকা ও মিষ্টি তরমুজের জোগান দিতে না পারায় এছাড়া দাম ও বেশি হওয়ায় অসাধু কিছু ব্যবসায়ীরা তরমুজে ভেজাল মেশাচ্ছে । জানা যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ,রায়গঞ্জ সহ বহু বাজারে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা তরমুজের ভিতরের অংশ লাল করতে ইনজেকশনের সিরিজ দিয়ে ব্যবহার করছে এক ধরনের বিষাক্ত রঙ। যা ব্যবহারে কাঁচা তরমুজ কে ও দেখাচ্ছে টকটকে লাল ।একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কিছু কিছু তরমুজের আড়তে ভোর বেলায় পুরনো ব্যবহ্নত ইনজেকশনের সিরিজে বিষাক্ত লাল রঙ ও মিষ্টি সেকারিন কিনে পানি মিশিয়ে তরমুজের বোটা বা নিচের অংশে কৌশলে ইনজেকশনের সুই ঢুকিয়ে কেমিক্যাল মেশানো হয়।
এই কেমিক্যাল মেশানোর কারণে তরমুজ লাল রঙ ধারণ করে ও মিষ্টি হয়।পরে দোকানে ছুরি দিয়ে কেটে তরমুজ পাকা দেখিয়ে এর দাম হাঁকানো হয়। অনেক সময় তরমুজ যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য কেমিক্যাল মেশানো হয়। যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।সাধারণত ভেতরের অংশ লাল দেখেই গ্রাহকরা তরমুজ কেনে। তরমুজের ভিতরের এই লাল অংশের প্রতি শিশুদেরও আগ্রহ বেশি। এই বিষয়ে কোন রকম নজরদারি না থাকায় দেশের অসাধু ব্যবসায়ীরা রমরমিয়ে চালাচ্ছে এই ব্যবসা । চিকিৎসক বলেন, ইদানীং খাদ্যে ভেজাল মেশানো মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এসব বিষাক্ত কেমিক্যাল মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি করে। এর ফলে হার্ট ফেইলিউরও হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের বেশি ক্ষতি হয়। শুধু তাই নয এই সব ফল খেলে অনেক সময় বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রচুর । এতে ক্যান্সারসহ অন্যান্য মারাত্মক রোগ হতে পারে।