বাংলা এক্সপ্রেস: চাকুলিয়া ব্লকে একদা বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তিনটি জেলা পরিষদ আসন বামেদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল কংগ্রেস। সেই সময় ব্লক কংগ্রেসে ছিলেন মহম্মদ মুস্তফা, মহম্মদ আব্দুল গনি, মহম্মদ মিনহাজুল আরফিন ভোলা নাথ রায়। এর মধ্যে ভোলা নাথ রায় সদ্য কংগ্রেস ত্যাগ করে শাসক দলে যোগদান করেছেন। আব্দুল গনি ও মিনহাজুল আরফিন অনেক আগেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদিয়েছিলেন। তৃণমূূল যোগ দেওয়ার পরে আব্দুল গনির পুত্র বধু তালাত আঞ্জুম জেলা পরিষদের বন দপ্তরের কর্নাধক্ষ ছিলেন। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১০ নং আসনটি সাধারন হওয়ায় তৃণমূলে টিকিটে লড়ছেন আব্দুল গনি। অপর দিকে ১০ নং জেলা পরিষদের কংগ্রেসের প্রতীকে লড়ছেন ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মুস্তফা মাস্টার।

বামেদের হয়ে লড়াই করছেন সাহিদ সিদ্দিকি, বিজেপির পক্ষে প্রার্থি হয়েছেন প্রাক্তন সামরিক কর্মী অমিত মন্ডল। উল্ল্যেখ, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১০ নং জেলা পরিষদ আসনে বামেরা পৃথক ভাবে লড়াই করেছিল। ফলে সিপি আই এমের প্রার্থির হার হয়েছিল। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী প্রাপ্ত ভোট ছিল ১৫৮০৭, সিপি আই এম প্রার্থি সামামা নাজ পেয়েছিল ১২৬৬৭ ভোট। বাম শরিক ফরয়ার্ড ব্লক প্রার্থী  ফরহাত নাজ এর ভোট ছিল ১১৯৩৬ ভোট, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আসগরি বেগমের ভোট ছিল ৪৭১৯। উল্ল্যেখ, সামামা নাজের স্বামী পরবর্তী কালে শাসক দলে যোগদান করেছিলেন।বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটের ফলাফল অনুযায়ী ১০ নং জেলা পরিষদে বামেরা খানিকটা এগিয়ে থাকলেও এবারে শাসক দলের উন্নয়নের ঢেউয়ে বামেরা তাদের গতবারের ভোট কতটা ধরে রাখতে পারেন তা নিয়ে শংসয় রয়েছে।

অপর দিকে কংগ্রেস ভেঙ্গে একাংশ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় কংগ্রসের ভীত খানিকটা দুর্বল হয়েছে বলাই বাহুল্য। কারন কংগ্রসের আকাধিক নেতা দল ছেড়ে শাসক দলে নাম লিখিয়েছে। কানকি গ্রাম পঞ্চায়েতের আকাধিক সদস্য শাসক দলে নাম লেখানোয় কংগ্রেস সাময়িক ভাবে কানকি এলাকায় ব্যাক ফুটে রয়েছে। অপর দিকে শাসক দলে অনেকেই টিকিট না পেয়ে কেঊ নির্দলে কেউবা বিরোধি দলের হয়ে নির্বাচনে লড়াই করছেন। কানকি, বেলন ও সাহাপুর ১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি সংখ্যালঘুদের মধ্যে সংগঠন বিস্তার করায় শাসক দল সহ অন্য দলের মাথা ব্যাথার কারন হয়ে পরেছে। কানকি এলাকার ১৮ নং পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় বিজেপির যথেস্ট প্রভাব থাকায় শাসক দলের ঘুম উবে গিয়েছে।

প্রবীন কংগ্রেস নেতা মুস্তফা মাস্টার প্রার্থী হওয়ায় প্রবীন কংগ্রেসিরা যারা তৃণমূল যোগদিয়েছিলেন তারা বিপাকে পরেছেন বলে গোপন সূত্রে জানাগিয়েছে। প্রবীন কংগ্রেস নেতা মুস্তফা একাই চষে বেড়াচ্ছেন গোটা চাকুলিয়া ব্লক। তিনি দাবী করেন বিনা যুদ্ধে সুচাগ্র মেদিনী তিনি একদা সহ যোদ্ধা আব্দুল গনি সহ বামেদের ছাড়তে নারাজ। এক কথায় বলা যেতে পারে চাকুলিয়ার ১০ নং জেলা পরিষদে একদা ছায়া সঙ্গি গুরু শিষ্যের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি কে হাসেন তা সময়ই বলবে, অপেক্ষা শুধু কয়েকটা দিনের।

admin

Share
Published by
admin

Recent Posts

ভারত- চায়না বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনায় অংশ নেবেন দোহাল

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোহাল আজ বেজিংয়ে, ভারত- চায়না বিশেষ প্রতিনিধি স্তরের আলোচনায় অংশ নেবেন।…

4 days ago

ভারতীয় নাগরিকরা শ্রীলঙ্কায় বিনা শুল্কে ভিসা পাবেন

আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতীয় নাগরিকরা শ্রীলঙ্কায় বিনা শুল্কে ভিসা পাবেন। ৩৯ টি দেশের…

4 days ago

তারা আর কোনো চাকরির পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত থাকবে না

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সী’- NTA, আগামী বছর থেকে শুধুমাত্র প্রতিযোগিতামূলক প্রবেশিকা…

4 days ago

গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকার বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে এবারের গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য সরকার বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।…

4 days ago

‘ব্যাম্বু মিশন’ অভিযানের কাজ এই রাজ্যে এগোয়নি :সুকান্ত

রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কারণে ন্যাশনাল ‘ব্যাম্বু মিশন’ অভিযানের কাজ এই রাজ্যে এগোয়নি বলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা…

4 days ago

বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপদেশ দিতে চাইলে নিবন্ধিকৃত হতে হবে

সিকিউরিটিস এন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া SEBI জানিয়েছে, কোনো ব্যক্তি বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপদেশ দিতে চাইলে…

4 days ago