ফারুক আহমেদ: এই প্রথম আদিবাসী সম্প্রদায়ের মাহালি নৃত্য দেখবেন কলকাতার মানুষ। বাংলার নববর্ষে পয়লা বৈশাখ রবিবার ১৫ এপ্রিল “ভাষা ও চেতনা সমিতি”র উদ্যোগে আকাদেমির সামনে।
“ভাষা ও চেতনা সমিতি”র উদ্যোগে নববর্ষ উৎসব পালন হচ্ছে গত ১৯ বছর ধরে আকাদেমির সামনে।
টানা ১৩ ঘন্টা চলে নাটক, কবিতা, গান, নাচ ও শ্রুতিনাটক।
প্রখর গ্রীষ্ম উপেক্ষা করে এই রকম অনুষ্ঠান পৃথিবীর আর কোথাও হয় না বলছিলেন, “ভাষা ও চেতনা সমিতি”র কর্ণধার ইমানুল হক। তিনি আরও বলেন “এর সঙ্গে থাকে পান্তাভাত, শুঁটকি, আমপোড়া শরবত, মাছভাত আর আলুপোস্ত।
আসাম বাংলাদেশ ত্রিপুরা থেকে আসেন শিল্পীরা এবারও আসবেন তাঁরা। এই অনুষ্ঠানের বিশেষত্ব নামী শিল্পীদের সঙ্গে যোগ দেন প্রতিভাবান অনামীরাও।
নির্ধারিত শিল্পীর পাশাপাশি সুযোগ থাকে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের। এবারে বিশতম বছর। পার্ক স্ট্রিট জাদুঘরের পাশে সরকারি কারু ও চারুকলা মহাবিদ্যালয় থেকে শুরু হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। যার নাম বৈশাখী যাত্রা। শঙ্খ ঘোষ নামকরণ করেন এই শোভাযাত্রার। নিজে অংশ নিয়েছেন ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। নানা ধরনের মুখোশের পাশাপাশি থাকে চলমান নৃত্য।
রায়বেঁশে, মাহালি, রবীন্দ্র ও লোকনৃত্য দেখা যাবে এই শোভাযাত্রায় আর হবে মূকাভিনয়। বর্ধমান থেকে আসছে স্পন্দন গোষ্ঠীর ২৬ জন শিল্পী। আছেন রিদমের শিশু ও কিশোরীরা। নৃত্যবিভঙ্গে মুখরিত হবে শোভাযাত্রা।
এরপর সকাল নটায় শুভ উদ্বোধন আকাদেমির সামনে ছাতিমতলায়। তারপর চলবে দিনভর অনুষ্ঠান। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ২০ বছর উপলক্ষে এবার অনুষ্ঠান দুদিনের। ৩০ চৈত্র শনিবার বিকেল ৫ টার সময় শুরু হবে উৎসব, চলবে রাত আটটা পর্যন্ত।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী তাপস দত্ত সংগীত পরিবেশন করবেন, আর হবে লোকসঙ্গীত, বাজবে সরোদ ও সেতার।
পরদিন রবিবার সকালে শুরু হবে নববর্ষের আনন্দ ও প্রতিজ্ঞার উৎসব। এদিন পত্রিকা ও গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানও থাকছে। কবি ও গল্পকার সোহিনী রায়-এর রচিত “প্রথম খসড়া” গ্রন্থটি আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করবেন বিশিষ্ট অতিথিরা। “প্রথম খসড়া” গ্রন্থটির প্রকাশক ‘উদার আকাশ’।”