সাংবাদিক নিগ্রহের প্রতিবাদে ঘুরে দাঁড়ানোর মিছিল


বৃহস্পতিবার,১২/০৪/২০১৮
1112

আসিফ রেজা আনসারী: না আর মার খাওয়া নয় সময় এখন ঘুরে দাঁড়ানোর। মার খেতে খেতে ক্লান্ত সাংবাদিকরা আজ বুধবার বিকেলে নামল কলকাতার রাজপথে । পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শাসক দল সাংবাদিকদের নানা ভাবে শুধু হেনস্থা করেই ক্ষান্ত নয় কোথাও ভেঙে দেওয়া হয়েছে ক্যামেরা কোথাও বা শাসক দলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিকাল ৪টে নাগাদ মেয়ো রোডের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সাংবাদিকরা ফেটে পড়ল বিক্ষোভে। পরে একটু মিছিলও হয়। প্রতিবাদ মিছিল টি গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে মেয়ো রোড, পার্ক স্ট্রিট, ধর্মতলা ঘুরে পুনরায় ওখানে শেষ হয়।

সংবাদ মাধ্যমকে গনতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ ধরা হয়। সত্য ও নির্ভুল সংবাদ বলিষ্ঠভাবে পরিবেশনের মাধ্যমেই সংবাদপত্র তার স্বাধীন ও স্বকীয় সত্ত্বা বজায় রাখতে পারে। গতানুগতিক সরকার তোষণ মূলক সংবাদ পরিবেশন নয় বরং সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করার গনতান্ত্রিক অধিকার হরণ করতে মরিয়া এক শ্রেণির মানুষ। আর তাতে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ মদত আছে বলে অভিযোগ। এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাংবাদিকরা আক্রান্ত হলেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই যা বিস্মিত সাংবাদিকরা। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় প্রশ্ন উঠছে নিরপেক্ষতা নিয়েও।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন গুলিতে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা যেভাবে চিত্র-সাংবাদিক ও সাংবাদিকদের উপরে আক্রমন তথা মারধর করেছে তা শুধু মাত্র একটি নক্কার জনক কাজ নয় বরং গনতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ কে সমূলে উৎখাত করার ঘৃণ্য চক্রান্ত। একজন সাংবাদিকের জামা-প্যান্ট খুলে নিয়ে তাকে অর্ধ্যনগ্ন করার মতো ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে সংবাদ মাধ্যমকে। কোচবিহার, বজবজ প্রভৃতি স্থানে বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার খবর হোক বা ডায়মন্ড হারাবারে এসইউসিআই প্রার্থী গৌতম মণ্ডলকে ব্যাপক মারধর করা হোক বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের খবর করতে গিয়ে সাংবাদিকদের চরম হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার-১, ২ মথুরাপুর, মগরাহাট, নুরপুর, বজবজ, প্রভৃতি স্থানে শুধু বিরোধীদের আটকানো নয় সাংবাদিকদেরও মারধর করা হয়েছে। মগরাহাট ও বারুইপুরে পুলিশকেও গুলিতে জখম হতে হয়েছে। তারপরেও প্রশাসন নিরব কেন? প্রশ্ন উঠছে ।তারই প্রতিবাদের আজ এই মিছিল বলছিলেন, সাংবাদিক প্রদীপ সাঁতরা, সায়ন্তন মুখার্জি প্রমুখ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট