শুধু একটু চাপ দিলেই সেরে যাচ্ছে উত্তর দিনাজপুরের বহু মানুষের রোগ


বুধবার,১১/০৪/২০১৮
8422

পিয়া গুপ্তা ,উত্তর দিনাজপুর: শরীর ও মন কে চাঙা রাখতে চান তবে আর দেরী কেন ?এবার হাতের কাছে যোগ ও আকুপ্রেসার চলে এসেছে ।যার মাধ্যমে একবার চাপ দিলেই সব রোগ শেষ ।এমন প্রাচীন যোগ ও আকুপ্রেসারের মাধ্যমে এবার সারছে উত্তর দিনাজপুর জেলার বহু মানুষের রোগ ।সৌজন্যে পতঞ্জলি যোগ সমিতি ও ডঃ লাজপত রায নিউরোথেরাপি।
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে ও অনেক সময় আমরা হারিয়ে ফেলি নিজের শরীর ও মনকে চাঙা রাখি না কারণ হাজারো কাজের ফাঁকে নিজের শরীর কে আর তেমন ভাবে যত্ন করিনা।বাজারের চটজলদি ওষুধের মাধ্যমে খানিকের জন্য চটজলদি আমরা সুস্থ হয়ে উঠি।তবে আমরা বুঝতে পারি না এই ওষুধ গুলোতে পাশ্ব প্রতিক্রিযা থেকেই যায় ।এবার আর ওষুধ নয যোগ ও আকুপ্রেসারের সাহায্যে এখন আপনার শরীর ও ব্রেন কে নিঃসন্দেহে শক্তি শালী করে তুলতে পারেন ।

যোগ ও আকুপ্রেসার এমন এক সহজ ও প্রাচীন পদ্ধতি যার মাধ্যমে প্রাচীন কাল থেকে বহু মানুষ সুস্থ হয়ে এসেছে।যোগ ও আকুপ্রেসার সম্পর্কে মানুষ জানে ঠিকই তবে সঠিকভাবে জানে না।আবার অনেকের জানা ও নেই।

বর্তমান দ্রুত গতির যুগে নিজের ব্রেনের উপর কাজের চাপ এতটাই থাকে বা যারা চাকরি করেন তাদের উপর অনেক ধরনের চাপ থাকে তাদের মনে হয় এই সময় যদি মাথা ঠাণ্ডা করার উপায় থাকত যার সাহায্যে আমরা দ্রুত মুক্তি পেতাম।সেই সময় আমরা মাথা ঠাণ্ডা রাখতে বাজারের প্রচলিত কিছু ঔষুধ নিয়ে থাকি যা আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক ।আপনি আপনার বুদ্ধি ও স্মরণ শক্তি আরোও বাডাতে চান আপনি এটা তো জানান যে নিয়মিত ব্যায়াম ,নিউরোথেরোপি ,মেডিটেশন এর দ্বারা আপনি আপনার স্মরণ শক্তি আরো বৃদ্ধি করতে পারেন কিন্তু আপনি করতে চান না কারণ আপনার কাছে এত সময় নেই বা আপনার করতে ইচ্ছে হয়না কারণ বেশির ভাগ মানুষ আজ আমরা অলস তাই না।এটা তো মানবেন যে যোগ ও আকুপ্রেসার হলো এমন এক প্রাচীন ও গুপ্ত চিকিত্সা যা আপনার মনোসংযোগ ও একাগ্রতা বাডাতে সাহায্য করে।এটা তো মানবেন মধ্য যুগের কোন কাজে কি

প্রতি দিনের কোন কাজে কিংবা কোন পরীক্ষা তে কোন না কোন ভাবে মেমোরি ব্যবহার হয়ে থাকে।তাই গুপ্ত রোগ ও শরীর চাঙা রাখতে এবার আপনাদের সামনে হাজির পতঞ্জলি যোগ সমিতি ও লাজপত রায মেহেরা নিউরোথেরাপির উদ্যোগে যোগা শিবির ও নিউরোথেরাপির চর্চা ।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের নাটমন্দিরে

প্রতি দিন সকালে নিয়মিত ভাবে এই শিবির হওয়ার ফলে আজ বহু মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছে।বহু মানুষ আজ এই চর্চা নিয়মিত করার ফলে তাদের আর কোন কিছুতেই ঔষুধ খেতে হচ্ছে না।নিয়মিত ভাবে যারা আসেন এই শিবিরে তারা জানালেন তাদের একবছর আগেও বিভিন্ন রোগের জন্য নিয়মিত ঔষুধ খেতে হত।আজ গত একবছর ধরে নিয়মিত ভাবে এই যোগ ব্যায়াম ও নিউরোথেরোপির চর্চা করার ফলে আজ আর তাদের ঔষুধ লাগে না আজ তারা পুরোপুরি সুস্থ ।তাই সুস্থ শরীর ও মনকে চাঙা রাখতে তারা নিয়মিত ভাবে পতঞ্জলি যোগ সমিতি ও লাজপত রায় মেহেরার নিউরোথেরোপির উদ্যোগে যোগা শিবির ও নিউরোথিরপির শিবিরে আসছেন নিয়মিত ভাবে।

লাজপত রায় মেহেরা নিউরোথিরোপির উত্তর দিনাজপুর জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ বিষ্ণু পদ দাস জানান প্রাচীন গুপ্ত চিকিত্সার আরেক নাম নিউরোথেরপি যা প্রাচীন কাল থেকে ভারতবর্ষে ছিল।বর্তমানে যা অনেকটাই লুপ্ত প্রায় হয়ে গেছে।তাই সেই লুপ্ত প্রায় চিকিত্সা কে আবারো সারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন কোণায় কোণায় ছডিযে দিতে ডঃ লাজপত রায় মেহরা এই চিকিত্সা আবারো শুরু করেন যার মাধ্যমে আজ বহু মানুষ বিনা ঔষুধেই সুস্থ হচ্ছেন ।

বিষ্ণুপদ দাস জানান নিউরোথেরোপির চিকিত্সা করতে গিয়ে বহু মানুষ আজ বিভিন্ন জটিল সব অসুখে অক্রান্ত হয়ে আজ তাদের কাছে আসেন নিউরোথেরোপির চিকিত্সা করতে।আজ বহু মানুষকে তারা সুস্থ করে তুলছেন বিনা ওষুধ ছাড়াই ।যেখানে দেখা যায় মানুষ 70 থেকে 80 শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠেছে।তিনি বলেন এটা প্রাকৃতিক চিকিত্সা ।এখানে ব্যাধির স্থান কে লক্ষ করে চিকিত্সা করা হয় ।মানুষের শরীরে যে গ্রন্থি গুলি রয়েছে তা প্রাকৃতিক উপায়ে চাপ দিয়ে সেই হরমোন গুলিকে সতেজ করে তুলে মানুষকে সুস্থ করে তোলা হয় ।বিষ্ণু পদ দাস আরো জানান আজ গ্রাম থেকে শহরের বহু মানুষ আজ নিউরোথেরোপির মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।গ্রামে গঞ্জের বহু মানুষ আজ উপকৃত হয়েছেন তার চিকিত্সার মাধ্যমে ।

অন্য দিকে কালিয়াগঞ্জের পতঞ্জলি যোগ সমিতির মূখ্য কর্ণধার গোপাল সাহা জানান আজকের দিনে প্রত্যেকটা বাড়িতে ওষুধ ছাড়া এক মূহূর্তে চলতে পারেনা ।কিন্তু তারা এতটাই ব্যাস্ত থাকেন যে তাদের কাছে কিছু সময় ও নেই যে দিনে সামান্য সময় নিজের জন্য ব্যায করবেন।কিন্তু এই শরীর চর্চা ও যোগব্যায়াম যদি কেউ নিয়মিত ভাবে করে থাকেন তবে তাদের আর ঔষুধ লাগবে না।অনেকেই আজ বছর খানেক ধরে তাদের কাছে আসছেন নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট