বাংলায় নতুন সূর্য ওঠার ডাক দিলেন কবি সম্পাদক ও দলিত-সংখ্যালঘু নেতা ফারুক আহমেদ


সোমবার,০৯/০৪/২০১৮
617

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও দলিত ইস্যু নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা অত্যান্ত সঠিক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন ফারুক আহমেদ। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরোর রিপোর্টে প্রকাশ বিগত দশ বছরে দলিত নির্যাতনের ঘটনা ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ! প্রত্যেক ১৫ মিনিটে দলিতদের বিরুদ্ধে ১ টি করে অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে। দেশে দলিতদের উপর নির্যাতনের ঘটনা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার-বঞ্চনা-বৈষাম্যের ঘটনাও চরম ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রত্যেকদিন ৬ জন দলিত নারী ধর্ষিতা হন। বিজেপি শাসিত সব রাজ্যে দলিত ও সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। কখনও “লাভ জেহাদ” তো কখনও “গো রক্ষার” নামে অসহায় সাধারণ মানুষজনকে পিটিয়ে মারার ঘটনা চোখে দেখা যায় না। এই সব দৃশ্য আদিভারতবাসীদের চোখে জল এনে চিবুক ভিজিয়ে দিচ্ছে। দেশজুড়ে সংখ্যালঘু মুসলিম ও দলিতদের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে।

এসসি-এসটি আইন পরিবর্তন ও দলিত-সংখ্যালঘু নিপীড়ন প্রতিকার করতে কলকাতার রাজপথে মহা মিছিল ও প্রতিবাদসভা করার ডাক দিয়েছে বিভিন্ন দলিত-আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সংগঠন। আগামী ২৮ এপ্রিল কলকাতার রাজপথ প্রতিবাদ মিছিলে সোচ্চার হবে। বলছিলেন, দলিত ও সংখ্যালঘু সঙ্কট উত্তরণের গবেষক ও উদার আকাশ পত্রিকা-প্রকাশনের সম্পাদক ফারুক আহমেদ। দলিত ও সংখ্যালঘুদের কাছে তিনি জোরালো আবেদন করেন, সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নিন।

তিনি আরও বলেন, গোটা ভারতে আদিভারতবাসীদের মধ্যে দলিত ও সংখ্যালঘু মুসলিমরাই সর্বদিক দিয়ে বঞ্চনার স্বীকার। এই বঞ্চনার অবসান ঘটাতে হলে রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। অংশ নিতে হবে উদার ও মুক্ত আদর্শ ভারত গড়ার কাজে। পশ্চিমবঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষার বেহাল দসার পরিবর্তন করতে অভিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। মাদ্রাসায় এখন দলিত ও সংখ্যালঘু মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীরাই বেশি পড়েন। তাই বলেই কি রাজ্য সরকারের এতো অবহেলা? শিক্ষক নিয়োগে অনিহা? উঠছে নানান প্রশ্ন।

রাজ্য সরকার অনুমেদিত ৬১৪ টি মাদ্রাসায় ৭০ শতাংশ শিক্ষক নেই। মাদ্রাসা শিক্ষা আজ ভেঙে পড়েছে তবু সরকার পক্ষ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিশ বাও জলে চলে যাচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা, তবু সরকার কোর্টে কেস চলছে এই অজুহাতে হাত গুটিয়ে বসে আছে। এই অজুহাত রাজ্যের মানুষ আর শুনতে চাইছেন না। বিশ্ববিদ্যালয় সহ সমস্ত চাকরির পরীক্ষাতে সঠিকভাবে রোস্টার মানা হচ্ছে না। বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে এসসি-এসটি-ওবিসি-“এ” এবং ওবিসি-“বি” চাকরি প্রার্থীদের চাকরি সুনিশ্চিত করতে হবে। ফারুক আহমেদ জোরের সঙ্গে বললেন, রাজ্যের যোগ্য সংখ্যালঘু ও দলিত আধিকারিকদের সব গ্যারেজ পোস্টিং দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে, এই বৈষাম্যও দূর করতে হবে।

আমরা দেখছি ২৩ টি জেলায় চোখ রাখলে কোনও ডিএম ও এসপি বা কমান্ডিং পোস্টে তেমন যোগ্য ও সৎ কাউকে বসানো হচ্ছে না। কেন? চাকরিরত যোগ্য সংখ্যালঘু ও দলিত যারা আছেন তাদের কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে? এর প্রতিকার করতে এবং যোগ্য জবাব দিতে ২৮ এপ্রিল কলকাতায় দলিত ও সংখ্যালঘুরা প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হচ্ছেন। তারা প্রতিবাদসভায় জোরালো আওয়াজ তুলবেন। রাণি রাসমনিতে হবে এই মহা মিছিল ও সমাবেশ। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের টনক নড়বে কি সেটাই দেখার। দলিত ও সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দ এবার জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামছেন।

বাংলায় ও ভারতে আবার নতুন সূর্য উঠবে দলিত ও সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক দল ভারতকে নতুন দিশা দেখাতে তৈরী হচ্ছে। তাই বাংলায় নতুন সূর্য ওঠার ডাক দিলেন কবি সম্পাদক ও দলিত-সংখ্যালঘু তরুণ-তুর্কি নেতা ফারুক আহমেদ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট