প্রতিবন্ধকতা কে হারিয়ে বাবার কোলে চেপে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে সোনু


মঙ্গলবার,০৩/০৪/২০১৮
728

পিয়া গুপ্তা ,রায়গঞ্জ:

প্রতিবন্ধকতা কে পিছনে ফেলে বাবার কোলে চেপে প্রতিদিন পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌচে যাচ্ছে দেড় ফুট উচচতার সোনু গুপ্তা ।ইচ্ছা শক্তি ও মানসিকতা যদি থাকে তবে যে হাজারো প্রতিবন্ধিকতা কে জয করা সম্ভব তা বুঝিয়ে দিল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের ছেলে সোনু।বয়স 18 বছর উচ্চতায় দেড় ফুট ।সমস্ত শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে এবারে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে দেড় ফুট উচ্চতার সোনু গুপ্তা।

সোনুর উচ্চতা তার কাছে বাধা হয়ে দাডাযনি ।উচচমোহনবাটি হাই স্কুলের ছাত্র সোনুর এবছর পরীক্ষায় সিট পড়েছে কাশিবাটি বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যাপীঠে। বাবা মায়ের কোলে চেপে সে প্রতিদিন পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছে পরীক্ষা দিতে।শারীরিক প্রতিবন্ধকতা  যে তার ভবিষ্যতে পড়াশুনায় বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না তা দেখিয়ে দিয়েছে রায়গঞ্জ শহরের শক্তিনগরের ছাত্র সোনু গুপ্তা। তার বাবা বাবলু গুপ্তার ছোট্ট একটি মুদির দোকান রয়েছে ।

আর্থিক অনটনে কোনরকমে দিন গুজরান হয় তাদের। সোনুর একটি ছোট বোনও রয়েছে। ২০১৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর জোরকদমে পড়াশোনা চালিয়ে যায় সোনু। পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থার কারণে কলাবিভাগেই ভর্তি হয় সে। এলাকার কাউন্সিলার বরুণ ব্যানার্জী সহ অনেকেই সহযোগিতায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন ভাবে। বিদ্যালয়ে ও প্রাইভেট টিউশনে নিয়ে যাওয়া ও নিয়ে আসা থেকে শুরুকরে যাবতীয় দায়িত্ব সামলাতে হয় বাবা বাবলু গুপ্তাকে ও তার মা কে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও ছেলেকে নানাভাবে উত্সাহিত করে আসছেন বাবলুবাবু। তার আশা সোনু একদিন নিজের পায়ে দাঁড়াবেই।

সোনু জানায় চাকরি করে বাবা মার স্বপ্ন পূরণ করা তার আসল উদ্দেশ্য ।মোহনবাটী হাই স্কুলের শিক্ষকরা  জানান, একদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা এবং অন্যদিকে আর্থিক দুরাবস্থাকে আমল না দিয়েই সোনু পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। তার এই জীবন সংগ্রাম বিফলে যাবে না। সাফল্য আসবেই।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট