নাজির হোসেনের অনুপ্রেরণা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হতে আলোর দিশা দিচ্ছে


শনিবার,৩১/০৩/২০১৮
584

ফারুক আহমেদ:

কালিগঞ্জ ব্লকের উদ্যোগে “অনুপ্রেরণা” দ্বারা পরিচালিত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এক কর্মশালায় উপস্থিত হয়েছিলেন এবং মূল্যবান বক্তব্য রাখেন ভারতের সর্বকনিষ্ঠ আইএএস অফিসার আনসার শেখ। আরও উপস্থিতি হয়েছিলেন আজমল হোসেন, ডব্লিউবিসিএস, ডোমা, নাদিয়া জেলা, দেবজিৎ দত্ত, ডাব্লুবিসিএস ২০১৬, মাসুদ করিম, ডব্লুবিসিএস এক্স-২০১৬, জেসমিন হক, ডব্লিউবিএএস অফিসারগন। উপস্থিত ছিলেন নাদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার ২০০ জন চাকরিপ্রার্থী। চাকরি পাওয়ার জন্য নিজেদের তৈরী করতে আগত ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দদের উৎসাহ ছিল চোখে দেখার মতো।

নাজির হোসেন, ডাব্লুবিসিএস এক্সকিউটিব ২০১৩ ব্যাচের টপার হয়েছিলেন। জাতি ও সমাজ কল্যাণের জন্য দায়িত্ব নিয়ে তিনি নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করছেন। তিনি এখন নাদিয়া জেলা কালীগঞ্জের বিডিও পদে কর্মরত।

তিনি তার মতো আরও অফিসার তৈরি করতে বদ্ধপরিকর হয়েছেন। তাই চাকরিজীবন থেকে কিছু সময় বার করে এলাকার গরিবগুরবো ও সাধারণ মানুষদের ছেলেমেয়েদের চাকরি পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য যথাযথভাবে শিক্ষার্থীদের গাইড করার জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন। যেহেতু বেশিরভাগ প্রার্থী ডব্লিউবিসিএস মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কীভাবে সফল হবে তা নিয়ে যথেষ্ট এক্সপোজার এখনও তারা পায়নি। তাই তাদের ভবিষ্যতে কর্মকর্তাদের পরবর্তী ব্যাচ হওয়ার জন্য নাদিয়া জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলির চাকরি প্রার্থীদের সহায়তায় দিতে নাজির হেসেন একটি ছোট উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, “আমি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একজন ছাত্র ছিলাম। সেই সময়ে আমি যেমন ডব্লিউবিসিএস এবং আইএএস অফিসারদের কোনও এক্সপোজার পাইনি। সেই সময়ে আমি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। তাই আমি গ্রামীণ সমাজের অধীনস্ত চাকরি প্রার্থীদের জন্য আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার পরিকল্পনা করেছি।” “অনুপ্রেরণা” নামক কোচিং সেন্টার গড়ে তোলার তাগিদ নিয়েই এগিয়ে এলেন তিনি। আগামীতে নাজির হোসেনদের প্রচেষ্টারত উদ্যোগে সফল হবে অনেকেই। গ্রামের ছেলেমেয়েরাও একদিন ডব্লিউবিসিএস অফিসার হবেন দেশের কল্যাণে কাজ করবেন। এই আশা প্রকাশ করেছেন নাজির হোসেন।

নদীয়া জেলার ডিএম সুমিত গুপ্তা (আইএএস), নাজির হোসেনকে এই কাজে বিশেষ ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কৃষ্ণনগরের এসডিও ইউ আর ইসমাইল, (আইএএস) অফিসারও তাঁকে উৎসাহ দিচ্ছেন এবং সহযোগিতা করছেন। এই মহৎ উদ্যোগকে সফল করতে নদীয়া জেলার আধিকারিক ও আমজনতা এগিয়ে আসছেন। এটাই আশার আলো।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট