বাংলা এক্সপ্রেস:
জলপাইগুড়ির মালবাজার মহকুমায় ছোট শহর চালসা। শহরে একটিই মাত্র প্রাইমারি স্কুল, চালসা জুনিয়র স্কুল। সেখানে ছেলে-মেয়ে উভয় মিলিয়ে মোট ১০৫ জন শিক্ষার্থী আসে। সকালে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ভরে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। তবে স্কুলটিতে কোনো পাঁচিল না থাকায় কার্যত নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন তারা। সকালে সব ঠিক থাকলেও রাত নামলেই যেন সব কিছু পাল্টে যায়। অন্ধকার ও নিরাপত্তারহীনতার সুযোগ নিয়ে সুযোগ নিয়ে বেআইনি কাজ চালান সমাজবিরোধীরা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান রোজ সকালে তারা স্কুলে এসে যত্রতত্র মদের বোতল পড়ে থাকতে দেখেন। স্কুল প্রাঙ্গণে মধুচক্র চলার সম্ভাবনা কেও মেনে নিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানান, বুধবার রাতে স্কুলের অফিস ঘর ও বাথরুমের তালা ভেঙেছে দুষ্কৃতীরা। তাঁর অফিস রুমের তালা ভাঙারও চেষ্টা চালিয়েছে তারা। রাতে স্কুল থেকে মহিলা কন্ঠস্বর ভেসে আসে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ব্যাপারটি আগে বহুবার পুলিশের কাছে জানিয়েছেন কিন্তু কোনো লাভ হয়নি, সমাধান তো দূরের কথা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরিস্থিতি সহ্য সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। চালসা গ্ৰামীন শিক্ষা কমিটির প্রধান আশিষ কুন্ডু বলেন, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমস্যার কথা তাকে বিস্তারিত জানিয়েছেন। সমাধানের জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। রাতে পুলিশি নিরাপত্তার জন্য ও আবেদন করবেন।