বাংলা এক্সপ্রেস প্রতিনিধি, ভাঙড়: একসময়ে ভাঙড়ে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল আরাবুলের।তাজা নেতা হিসাবে তাঁকে অবহিত করেন প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র।আরাবুলের বেতাজ বাদশাহীতে কাঁপত গোটা ভাঙড়সহ চারপাশের এলাকা।
ইদানিং তিনি অনেকটাই কোণঠাসা।তাঁর দলের একটি গোষ্টি গত বিধানসভা নির্বাচনে আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার জয়লাভ করার পর তাঁর অফিসে ভাঙচুর করে।একদিকে আরাবুল ইসলাম একাই অন্যদিকে গোটাদল।তবে আরাবুলের পুঁজি জনগণ তাঁর দিকেই বেশি।
গত কিছুদিন আগে এক অঞ্জাত পরিচয় নম্বর থেকে ফোন আসে আরাবুলের কাছে।ফোনের ওপার থেকে দুদিনের মধ্যে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।এবিষয়ে আরাবুল নিজেই স্থানীয় কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোশাল মিডিয়ায় আরাবুল অনুগামীরা এই হুমকির তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কারজানিয়ে একাধিক পোস্ট করেছেন।তারা মনে করছে এটা গভীর ষড়যন্ত্র।তাদের আরও অভিযোগ নকশালরা এর সঙ্গে যুক্ত।আরাবুল অনুগামীরা দোষীদের খুঁজে বের করে অবিলম্বে কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছে।
স্থানীয় কাশিপুর থানা ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।শুরু করেছে মোবাইল লোকেশন ধরে দ্রুত তদন্ত।সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে আরাবুলের ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীকে।
এই হুমকি ফোন পাওয়ার পরও থেমে নেই আরাবুল।রাতে হুমকি ফোন সকালে প্রতিদিনের মতো নানা কর্মসূচিতে যোগদান।পাওয়ার গ্রিড আন্দোলন কে ঠেকানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেস উঠেপড়ে লেগেছে বলা চলে।যার প্রধান ভূমিকায় অবতীর্ণ আরাবুল ইসলাম।এই কারণেই তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি বলে মনে করছে স্থানীয়রা।