সুস্মিতা সরকার, বাংলা এক্সপ্রেস: মাঝরাতে হঠাৎই চামড়ার গন্ধ ছড়িয়ে যায় আশেপাশে, প্রতিবেশীরা ছুটে যান। ততক্ষণে দম্পতি ও তাদের শিশুকন্যার শরীরের প্রায় একশো শতাংশই জ্বলে গিয়েছে। বারাসাতের নীলগঞ্জের সদরপুরের ঘটনাকে ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। নিছক দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পেশায় বাসচালক কুল ঘোষ ও তার পরিবার রবিবার রাতে তাড়াতাড়িই বাড়ীর আলো নিভিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। মাঝরাতে আচমকাই তারা দেখতে পান বাড়িতে আগুন লাগেছে কুশ ঘোষের। দাউ দাউ করে জ্বলছে তা! স্হানীয়রাই কোনো মতে আগুন নিভিয়ে উদ্ধার করে তাদের তিন জনকে। তৎক্ষণাৎ তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসাত হাসপাতালে। সেখানে কুশ ঘোষের স্ত্রী কাজল ঘোষকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাবা মেয়েকে আর.জি.করে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত্যু হয় শিশু কন্যা সায়নির। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে কুশ ঘোষ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এটাকি নেহাতই দুর্ঘটনা নাকি অন্য কিছু। প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারাসাত থানার পুলিশ।