সুস্মিতা সরকার: “আধ্যাত্মিক ঈশ্বরের বিশ্ববিদ্যালয়” ঢোকার মুখে সাইনবোর্ডে এই কথাটাই লেখা, আবার সেই ঈশ্বরের স্থানেই অল্পবয়সী মেয়েদের উপর “যৌন নির্যাতন ও শোষন” চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল যায় ওই প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠানে থাকা কালীন তাকে ধর্ষন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন এক তরুণী।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বিধাননগরের তল্লাশি চালানোর নির্দেশ দেয় বিধাননগরের এসিজেএম আদালত। শনিবার প্রতিষ্ঠানটি সিল করে দিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে ৭জন নাবালিকা, ৪জন পূর্ণ বয়স্কা মহিলাসহ ১৫জন কে উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ীর মালিক রবীন্দ্রনাথ দাশ বাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ভাড়া দেন। এদিন তিনি বলেন, “ইদানিং ছোট ছোট বাচ্চা মেয়েগুলোর উপর যৌন অত্যাচার চরমে উঠেছিল। বাধ্য হয়ে প্রথমে পুলিশ পরে মহিলা কমিশনকে সব জানিয়েছি।”
সম্প্রতি এক তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন আধ্যাত্মিক শিক্ষার নাম করে প্রথমে তাকে আশ্রমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছু দিন পর থেকে শিক্ষা দান বন্ধ করে তার উপর যৌন নির্যাতন চালান এক ব্যক্তি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আনলে ক্ষতি করার হুমকিও দেওয়া হয় তাকে। বছর দুয়েক আগে ওই আশ্রম থেকে তার মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বলে অভিযোগ এনেছেন এক মহিলা। রাজ্যের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আশ্রম বাড়ীটির ভেতরের পরিবেশ সন্দেহজনক। বাড়ীর মালিক, ওই তরুণী ও ওই ভদ্রমহিলার অভিযোগের উপর ভিত্তি করে আমরা কাজ শুরু করেছি।”