সুস্মিতা সরকার, বাংলা এক্সপ্রেস: টক-ঝাল-মিষ্টি, খাস্তা-মুচমুচে-মশলাদার, কোনটা মিষ্টি কোনটা আবার বেজায় ঝাল, মুড়ির সঙ্গী হিসেবে যার কোনো দোসর নেই। ছোট থেকে বড়, কম বেশি যা প্রত্যেকের কাছেই প্রিয় সেই চানাচুর কেই এবার বন্ধ করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। গোটা রাজ্য জুড়ে প্রায় সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে এমন কয়েক হাজার জাল স্ন্যাক্স তৈরীর কারখানা। শুধুমাত্র চানাচুরই নয় নানা রকম তেলেভাজা, মুখরোচক খাবার তৈরী করা হয় সেখানে প্রতিনিয়ত। তারপর লেবেল লাগিয়ে সেগুলিকে বিক্রির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যের সর্বত্র। কোনো রকম অনুমতি পত্র ছাড়াই দিনের পর দিন চলছে তাদের রমরমা ব্যবসা। কিন্তু এসব খেয়ে তিলে তিলে স্বাস্থ্যের অবনতি হলেও নিরুপায় সাধারণ মানুষ, নেই অভিযোগের কোনো ব্যবস্থা।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ফলতায় এমনই এক জাল চানাচুর তৈরী কারখানার হদিশ পায় রাজ্য সরকার, ক্রমাগত বিষয়টি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে তা হাইকোর্ট অবধি পৌছে যায়। ২০১০সালে রাজেশ হালদার তার স্ত্রী রাখী হালদারের নামে একটি কারখানা তৈরি করেন। দীর্ঘ দিন ধরে তা চললেও কারখানাটিতে না আছে কোনো দূষণ নিয়ন্ত্রণের সাটিফিকেট বা ফায়ার লাইসেন্স। অথচ প্রতি নিয়ত সেখানে উৎপন্ন হচ্ছে কয়েকশো কিলো চানাচুর। তারপর সেগুলো দিয়ে তারা স্থানীয় বাজারে রমরমা বাণিজ্য করে যাচ্ছে।
কারখানাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ায় প্রথম স্তরে রাজেশ হালদারকে তার বন্ধের নির্দেশ দিলে তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। অবশেষে অনেক জলঘোলার পর হাইকোর্টে পৌঁছায় তা। লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়টি জড়িত থাকায় হাইকোর্ট অবিলম্বে কারখানাটিকে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।