খেলাচ্ছলে নিখোঁজ শহরের পাঁচ কিশোর-কিশোরী:


মঙ্গলবার,১৩/০২/২০১৮
992

সুস্মিতা সরকার, বাংলা এক্সপ্রেস:   রবিবার বিকেলে খেলতে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে ছিল ছয় কিশোর কিশোরী! বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও কেউ ঘরে ফেরেনি। শহরের বুকে থেকে উধাও হয়ে যায় তারা। অবশ্য তাদের মধ্যে একজন, রাজদীপ জানা (১৬) সোমবার সকালে নিজেই বাড়ি ফিরে আসে। তবে সোমবার রাত পর্যন্ত ও বাকীরা নিখোঁজ। এরা হল, অভিজিৎ সরকার (১৭), অর্পিতা সরকার(১৩), প্রিয়া কর্মকার (১৩), প্রিন্স সাউ (১৫) এবং দেবরাজ ঘোষ(৭)। তারা রিজেন্ট পার্ক থানার পূর্ণ পুটিয়ারির দক্ষিণপাড়ার নতুনপল্লি বাসিন্দা। রবিবার রাতেই সকলের অভিভাবক থানায় অভিযোগ জানায়। রাত থেকেই তাদের জোরদার তল্লাশি শুরু করেছে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ।
          নিখোঁজের কারণ জানতে ফিরে আসা রাজদীপ জানা কে বারবার জিঞ্জাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর তারা জানতে পেরেছে রীতিমতো পরিকল্পনা করেই তারা ঘর ছেড়েছে। নেতাজি (কুঁদঘাট) মেট্রো স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ তাদেরকে এখানেই মেট্রোতে উঠতে দেখা গিয়েছিল। সেখান থেকে কালিঘাট মেট্রো স্টেশনে নেমে ফের কবি সুভাষ গামী মেট্রোতে উঠে নিউ গড়িয়া স্টেশন থেকে শিয়ালদহর ট্রেন ধরে তারা। শিয়ালদহ স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে অস্পষ্ট ছবি ও ধরা পড়ে তাদের। তাদের মধ্যে অভিজিৎ ও অর্পিতা ( ভাই-বোন) যাওয়ার সময়  দুই হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে। সাথে থাকা মোবাইলটাও বন্ধ করে রেখেছে তারা। ফলতঃ নিখোঁজদের অবস্থান জানতে পারেনি পুলিশ। বাড়ি থেকে বেরিয়ে লোকের চোখে সন্দেহ এড়াতে আলাদা আলাদা ভাবে এলাকা ছাড়ে তারা প্রত্যেকেই।
        রাজদীপ কেন বাড়ি ফিরে এলো এ কথার উত্তরে সে জানায়, বন্ধুর কাছে ব‍্যাগ রেখে সে জল আনতে গেছিল ফিরে এসে আর কাউকে দেখতে পায়নি সে। রীতিমতো নিরাশ হয়েই সে বাড়ি ফিরে আসে। রাজদীপের কথার মধ্যে কোনো অসঙ্গতি আছে কিনা তা যাচাই করে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ধমান বা বিহার গামী কোনো ট্রেনেই উঠেছে তারা। মাস ছয়েক আগে বাড়ী থেকে টাকা চুরি করে বিহারে তার দিদার বাড়ি এভাবেই পালিয়েছিল প্রিন্স। রাজদীপের বাবা রুদ্রকান্ত জানা সহ বাকী সকল অভিভাবকদের অভিযোগ প্রিন্সের বুদ্ধিতেই সকল কিছু ঘটেছে। শিয়ালদহ রেল পুলিশ সুপার অশেষ বিশ্বাস জানান “পুলিশ নিজের কাজ করে যাক, এদিকে আমরা সমস্ত জিআরপি থানাকে সতর্ক করে দিয়েছি “।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট