কাজী হাফিজুলঃ
ভাঙড়ের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর ভাঙড়ে সীমাবদ্ধ নয়,এবার একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দোরগোড়ায । দিনকয়েক আগে বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা র অনুগামী নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘুনিমেঘী গ্রামের বাসিন্দারা।কাইজার আহমেদের গ্রেফতার ও ভাঙ্গড়থানার ওসিকে অপসারণ দাবিতে। পুলিশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে ।সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কাইজার অনুগামীরা গত শনিবার দিদির বাড়িতে যান রেজ্জাক মোল্লা ও স্থানীয় নেত্রী সোমা নস্কর নামে অভিযোগ জানাতে। দিদি তাদের সঙ্গে দেখাতো দূরের কথা অভিযোগ পত্র জমা নেননি । ফলে তারা ধরনা দেন।
সোমবার সকালে রেজ্জাক মোল্লা র অনুগামী সোমা নষ্কর সহ আরও ১০ জন সঙ্গী দিদির বাড়িতে যান । তারা জানান, “দিদি আমাদের অভিযোগ পত্র নিজে জমা নিয়েছে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন । মুনশিদাবাদ বাস দুর্ঘটনার জন্য সময় দিতে পারেন নি তবে আমার উপর ভরসা রাখতে বলেছে ।”
কাইজার আহমেদ বলেন, “কে কি অভিযোগ জমা দিল আমার যায় আসে না, ওরা সব সিপিএমের লোক ।”
আরাবুল ইসলাম বলেন, ” আমরা ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস এর সৈনিক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ন্যায় নীতি আদর্শ কে পাথেও করে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি সুশৃঙখল যায়গায় প্রতিষ্ঠা করেছি। আজ কিছু মুনাফা লোভী নেতা ও জমির দালাল রা টাকার বিনিময়ে এলাকায় অশান্তির সৃষ্টি করছে। আমরা দিনের পর দিন তাদের কাছে অত্যাচারিত । ঢাল হতে হচ্ছে আমাদের মত তৃণমূল কংগ্রেস এর সৈনিকদের । আমি এলাকাবাসীর কাছে অনুরোধ করছি মা বোনেরা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে শান্তিতে বসবাস করার জন্য ও প্রশাসনের প্রতি আস্থা রাখার কথা বলেন ।
এদিন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার কোন প্রতিকৃরিযা পাওয়া যায়নি ।