কাজী হাফিজুল, ভাঙড়ঃ পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ততই শেষে চলেছে।ঘুনিমেঘীতে সরস্বতী পুজোয় রাস্তার ধারে মদ্যপান করতে নিষেধ করে স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী সোমা নস্কর, তখনই তারা সোমার উপর চড়াও হয় এমনকি তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ ।তার স্বামী থাকাতে আসলে তাকেও মারধর করা হয় ।এই ঘটনার প্রতিবাদে আরাবুল ইসলামের অনুগামীরা মঙ্গলবার এক ঘন্টা বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কাইজার আহমেদকে গ্রেফতার ও ভাঙ্গড় থানার ওসিকে অপসারণ দাবি জানান।অন্যদিকে কাইজার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের লোক যুক্ত নয় ওরা আমাদের দুজনকে মেরেছে তারা এখন হসপিটালে চিকিৎসা চলছে , ।পুলিশ উভয় পক্ষের চারজনকে গ্রেফতার করেছে ।
অন্যদিকে কাশিপুর থানার ভোগালীর গাজিপাড়ায একটি চক্ষু পরীক্ষা শিবির থেকে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম চলে যাওয়ার পরই সেখানে বোমাবাজি হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেনের বিরুদ্ধে। স্থানীয় একটি ক্লাবের তরফে চক্ষু পরীক্ষার শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেই সভায় প্রধান অতিথি ছিলে আরাবুল ইসলাম। চক্ষু পরীক্ষার শিবির উদ্বোধন করে তিনি চলে যাওয়ার পর সেই সভায় হামলা করে কয়েকজন। ভাঙচুর করা হয় সভাস্থলের চেয়ার, টেবিল নানা যন্ত্রপাতি। অভিযোগ, নান্নু হোসেনের অনুগামীরা সেখানে হামলা চালিয়েছে। বোমা বন্দুক নিয়ে সেখানে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ।আরাবুল ইসলাম বলেন, “যারই লোক হোক, সে যে দলেরই লোক হোক শাস্তি পাবেই। এরা দলের নাম করে তোলাবাজি করবে। দলের বিরুদ্ধে তোলাবাজি করবে। এদের প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। প্রশাসন খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিবে । যারা হামলা করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছি।”নান্নু হোসেনকে, “বারবার ফোন করে তার কোন প্রতিকৃরিযা পাওয়া যায়নি”।
পাশাপাশি ভাঙড়ের কেএলসি থানার বামনঘাটায আরাবুল ইসলাম অনুগামী প্রদীপ মন্ডল নান্নু হোসেন অনুগামী নিত্য গোপাল মন্ডলের লোকজনদের মারধর করে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেন ।প্রদীপ মণ্ডলের ফোন অফ থাকায় কোন প্রতিকৃরিযা পাওয়া যায়নি ।পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।