সুস্মিতা সরকার: “আহাঃ কী দেখিলাম জন্ম জন্মান্তরেও ভুলিব না” বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কপালকুণ্ডলা’ থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাহিত্যিক ও কবির লেখায় নানা রূপে ধরা দিয়েছ গঙ্গাসাগর। এতদিন মানুষ বলতো “সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার” এবার সেই প্রচলিত ধারণার এক আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। ২৭শে ডিসেম্বর বুধবার গঙ্গাসাগর ভ্রমণে গিয়ে তিনি ঘোষণা করেন শুধুমাত্র মকড়সংক্রান্তি উপলক্ষেই নয় এবার থেকে পুরীর মত সারাবছর ই গঙ্গাসাগরে ভ্রমনার্থীদের ভ্রমণের সুযোগ করে দেবে রাজ্য।
সাগর দর্শনে অনেকটা পথ অতিক্রম করতে হয়, পেরোতে হয় জল ও, সেক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন অধিকাংশ দর্শনার্থী। এই দিন রুদ্রনগরে কিষাণ বাজারে জনসভার কাজ শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি চলে যান সমুদ্র সৈকতে। সমুদ্র তটে দাঁড়িয়ে তৎক্ষণাৎ তিনি জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মলয় দে, পরিবহন সচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায় সহ শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে। সরকারী সূত্রে খবর, বুধবার থেকেই কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন তিনি মলয় দে কে।
পুরীর আদলে মন্দির ও সমুদ্র সৈকত এই দুই এর মেলবন্ধনে তীর্থস্থান ও পর্যটনের নয়া এক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন গঙ্গাসাগর স্থানটিকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান মুড়িগঙ্গার উপর পাকাপাকি ভাবে লোহার সেতু গড়ে দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে কেন্দ্রে, সেক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ শেয়ার দেবে কেন্দ্রকে রাজ্য ।কেন্দ্র সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছে বলে জানান তিনি, এ বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের আদান-প্রদানের চিঠিপত্র ও দেখান তিনি। তিনি বলেন দর্শনীয় স্থানের মর্যাদা পাওয়ার সমস্ত পরিবেশগত পরিকাঠামো রয়েছে স্থানটিতে, সেক্ষেত্রে কুম্ভমেলার সমমর্যাদা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে স্থানটি। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত সকল স্তরেই প্রশংসা লাভ করেছে।
এই বিষয়ে তিনি আর ও সংযোগ করছেন পুরানো ভাঙা জেটির সংস্কারন থেকে শুরু করে রাস্তা চওড়া করার প্রস্তাব। সবশেষে,বাংলাকে ভারত তথা গোটা বিশ্বের নজরে অনন্য ও অসাধারণ রূপে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন এটাই তার এক ও অদ্বিতীয় স্বপ্ন বলে জানান তিনি।