আফনানঃ ১৯৩৮-৩৯ মৌসুমে সর্বশেষ ‘টাইমলেস’ টেস্ট দেখেছিলো ক্রিকেটবিশ্ব। সে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবারে জয়ের পথে থাকা ইংল্যান্ড অবশ্য জাহাজ ধরার জন্য মাঝপথেই খেলা ড্র মেনে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলো। বিশ্রামের দুই দিন ছাড়াও সেবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড ১০ দিন লড়াই করে।
১৯৭২-৭৩ মৌসুমের আগ পর্যন্ত ক্রিকেটে টেস্ট ম্যাচ ছিলো তিন থেকে ছয়দিনের। ১৯৭২/৭৩ মৌসুমের পর এবারই প্রথমবারের মতো পোর্ট এলিজাবেথে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, চারদিনের টেস্ট ম্যাচ।
দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধে চারদিনের টেস্ট ম্যাচে সম্মতি দিলেও, বক্সিং ডে টেস্টের জন্য বেশ কিছু নতুন নিয়ম বেঁধে দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। পোর্ট এলিজাবেথে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে প্রোটিয়ারা।
মঙ্গলবার শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার খেলাটি অষ্টম দিবারাত্রির টেস্টম্যাচ। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটিই প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট। দিবারাত্রির আসন্ন ওই টেস্টের জন্য আইসিসির বেঁধে দেয়া নতুন নিয়মগুলো হলো-
১. প্রতিদিন খেলা হবে ৬ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। পাঁচদিনের টেস্টে সাধারণত প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা করে খেলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ, প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে খেলা বেশি মাঠে গড়াবে।
২. পাঁচদিনের টেস্টে যেখানে প্রতিদিন ৯০ ওভারের খেলা হয়, সেখানে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে প্রতিদিন ৯৮ ওভার করে খেলা হবে। মূলত ৮ ওভার বেশি খেলার জন্যই প্রতিদিন বাড়তি ৩০ মিনিট বরাদ্ধ রাখা হয়েছে।
৩. টেস্টের প্রথম দুই সেশনের প্রতিটিতে ২ ঘণ্টা নয়; বরং ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট খেলা হবে। প্রথম সেশনের পর ২০ মিনিটের চা বিরতি চলবে। দ্বিতীয় সেশনের পর ডিনারের জন্য ৪০ মিনিটের বিরতি থাকবে। তৃতীয় ও শেষ সেশনের খেলা চলবে দুই ঘণ্টা।
৫. পাঁচদিনের টেস্টে কোনো দল বিপক্ষ দলের চেয়ে ২০০ রান কম করলে ফলোঅনে পড়ে। এক্ষেত্রে চারদিনের টেস্টে কোনো দল প্রতিপক্ষের চেয়ে ১৫০ রান কম করলে ফলোঅনে পড়বে।
৬. খেলা শুরু হবে স্থানীয় সময় বেলা দেড়টায়; যা দিবারাত্রি টেস্টের সাধারণ সময়ের ৩০ মিনিট আগে। পোর্ট এলিজাবেথে টেস্টের চারদিন আনুমানিক ৭.৩০ মিনিট থেকে ৭.৩১ মিনিটে সূর্য অস্ত যাবে। সেই হিসেবে সূর্যাস্তের পরও দেড় ঘণ্টা খেলা চলবে।
উল্লেখ্য, আধুনিক ক্রিকেটে ২০০৫-০৬ মৌসুমে অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া ও বিশ্ব একাদশের মধ্যকার টেস্টটি ছয়দিনের ছিল। যদিও সেই টেস্টটি চারদিনেই শেষ হয়ে যায়।