নিজস্ব প্রতিনিধি, বারুইপুর :আবার অমানবিক নির্যাতনের শিকার হলেন এক বৃদ্ধা মা।সম্পত্তির লোভে বৃদ্ধা মাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে ঘরে তালা বন্দী করে রাখার অভিযোগ উঠল শিক্ষক ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে। শিক্ষিত ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটানোর অভিযোগের আঙুল উঠেছে। দক্ষিণ শহরতলির বারুইপুরের সুভাষগ্রাম এলাকার পেটুয়ার ঘটনা। বৃদ্ধার প্রতিবেশি এক মহিলা বিষয়টির আঁচ পেয়ে যান। তিনিই উদ্যোগ নিয়ে ওই বৃদ্ধার মেয়ে ও জামাইকে খবর দেন। মায়ের এই করুণ অবস্থার খবর পেয়ে ছুটে আসেন মেয়ে ও জামাই। তাঁরাই প্রতিবেশিদের সাহায্য নিয়ে বৃদ্ধাকে ঘর থেকে উদ্ধার করেন। তাঁকে সুভাষ গ্রাম প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান। তারপর বারুইপুর থানায় নিয়ে এসে ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করান। পুলিস ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃদ্ধার বৌমাকে গ্রেপ্তার করেছে। ছেলে ও বৌমার হাতে নির্যাতিতা বৃদ্ধার নাম দীপালি দে। প্রায় ৬০ বছর বয়েস দীপালিদেবীর।
স্থানীয় মানুষ ও পুলিস সূত্রে জানা গেছে, দীপালিদেবীর কিছু বিষয় সম্পত্তি রয়েছে। আর সেই সম্পত্তি মায়ের কাছ থেকে লিখিয়ে নেওয়ার জন্য ইদানিং উঠেপড়ে লেগেছিলেন ছেলে ও বৌমা। আর তাই নিয়েই সংসারে গোল বেঁধেছিল। অভিযোগ, এই নিয়ে মার ওপর নির্যাতন শুরু করেছিলেন ছেলে ও বৌমা। এর আগেও তাঁকে মারধর করা হয়। তিনি তা নিয়ে পুলিসেরও দারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোন ফল হয় নি। এরপর দীপালিদেবী ছেলের বিরুদ্ধে খোরপোষ চেয়ে আদালতে মামলাও করেছিলেন বলে খবর। বৃহস্পতিবার রাতে সম্পত্তি নিয়ে মায়ের সঙ্গে ছেলে ও বৌমার বিবাদ চরমে ওঠে। অভিযোগ, সম্পত্তি হাতানোর জন্য সাদা কাগজে মাকে দিয়ে সই করিয়ে নিতে চায় ছেলে ও বৌমা। আর তাতে রাজি না হওয়ায় মাকে মারধর করেন ছেলে ও বৌমা। তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তারপর একটি ঘরে তাঁকে বন্দী করেও রাখা হয়েছিল। বারুইপুর থানার পুলিস জানায়, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বৌমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।