সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে,ভাঙড়: ভাঙড় ১ নং ব্লকে অবস্থিত নারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় পা রাখল পঞ্চাশ বছরে।১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই বিদ্যালয়টি।একে একে পেরিয়ে এল অর্ধ শতাব্দী। ৪৯ টি রুম সহ তিনতলা বিশিষ্ট বিদ্যালয়টি বাসন্তী হাইওয়ে রোডের উপর পাগলাহাটে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। শিক্ষার দীপশিখা জালিয়ে দীপ্ত করে চলেছে গোটা এলাকা।
পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় দুইদিন ব্যাপি উৎসবের।চলে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। আঁকা,তাৎক্ষনিক বক্তৃতা,আবৃতি,সঙ্গীত ও নিত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ছাত্র ছাত্রীরা।
জ্ঞানের আলোক বর্তিকা নিয়ে পথ চলা শুরু করেছিল যখন বিদ্যালয়টি তখন ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০০ জন। বর্তমানে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ১৮০০ জন। তখন শিক্ষক ছিল মাত্র ৬ জন।এখন এখানে শিক্ষক শিক্ষিকা ৪০ জন।
বর্তমানে বিদ্যালয়টির নিজস্ব খেলার মাঠ ও জিমখানা রয়েছে। যেখানে ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশুনার পাশাপাশি শরীর চর্চার ও সুযোগ পায়। এছাড়াও রয়েছে সেমিনার হল ও স্টেজ।যেখানে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে প্রায় সারা বছর ধরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসব আয়োজন করা হয়।
সৃজনশীল ছাত্র ছাত্রীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের জন্য সাপ্তাহিক ‘নলেজ কর্নার’ ও দেওয়াল পত্রিকা ‘ভাবনা’ নিয়মিত বার হয়।এখানে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের লেখা প্রতিবেদন,কবিতা,নাটক,গল্প,সংলাপ ও নিজেদের আঁকা ছবি প্রকাশের সুযোগ পায়।
বিদ্যালয়ের উৎসব অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য রয়েছে ছাত্র সংসদ।অবশ্য তারা নির্বাচিত নয়,মনোনীত হয়।ছাত্র সংসদ ৫ টি উপ সমিতিতে ভাগ হয়ে কাজ করে।সমিতি গুলো হল শিক্ষা,স্বাস্থ্য,খাদ্য,ক্রীড়া ও পরিবেশ।
শিক্ষা প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক,সাংস্কৃতিক,পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কাজ করার স্বীকৃতি স্বরূপ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন মন্ডলকে ২০১৩ সালে প্রদান করা হয় ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার।ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে আবার মনোনীত হন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের জন্য।
প্রধান শিক্ষক শিক্ষারত্ন আবুল হোসেন মন্ডল বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন সম্পর্কে বলেন,আমাদের আরও পরিকল্পনা রয়েছে।এর মধ্যে অন্যতম হল দুঃস্থ ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ছাত্রাবাস নির্মাণ। তিনি বলেন আমার কাছে শিক্ষারত্ন কিংম্ব রাষ্ট্রপতি পুরস্কার বড় ব্যাপার নয়। আমার জন্য সেটাই হবে এর থেকেও বড় পুরস্কার,যখন ছাত্র ছাত্রীরা মানুষ হবে। দেশের জন্য কিছু করে দেখাবে।