হাঁপানি বা অ্যাজমা ‌কিভা‌বে নিরাময় কর‌বেন


বুধবার,১৮/১০/২০১৭
1610

হাঁপানি বা অ্যাজমা হলো শ্বাসনালির প্রদাহজনিত একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ। এই প্রদাহের জন্য শ্বাসনালির সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। ফলে কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং বুকে চাপ অনুভূত হয়। অ্যাজমা চিকিৎসার একটি মূল উপাদান হলো নিয়মিত, অবিরামভাবে শ্বাসনালির প্রদাহ কমানোর ওষুধ বা অ্যান্টি ইনফেলামেটরি বা স্টেরয়েড ইনহেলার ব্যবহার করা। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে শ্বাসনালির প্রদাহ কমে যায়। ফলে কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ অ্যাজমার অন্য উপসর্গগুলোর উন্নতি হয়। স্টেরয়েড ইনহেলার ছাড়াও হাঁপানির অন্যান্য ওষুধ, যেমন মনটিলুকাস্ট, লং অ্যাকটিং থিওফাইলিন, অ্যান্টি হিস্টামিন এবং প্রয়োজনমতো অ্যাজমা উপসর্গ উপশমকারী ওষুধ সালবিউটামল ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়।

অ্যাজমার ওষুধগুলো কখনোই হঠাৎ বন্ধ করা উচিত নয়। অ্যাজমার উপসর্গগুলো সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ধীরে ধীরে ওষুধ বন্ধ করতে হয়। আপনি রোগনিয়ন্ত্রণের আগেই হঠাৎ সব ওষুধ বন্ধ করে দিয়েছেন, যা কখনোই করা উচিত নয়।

ওষুধ ছাড়াও একজন হাঁপানির রোগীকে তার রোগের উত্তেজন বা ট্রিগার ফ্যাকটর জানা দরকার। যেমন-ধুলাবালি, ঠান্ডা পানি পান করা, বায়ুর তাপমাত্রা পরিবর্তন, শ্বাসনালির ইনজেকশন ইত্যাদি। তবে সবার ট্রিগার ফ্যাকটর এক নাও হতে পারে। তাই আপনার বা যেকোনো হাঁপানি রোগীর উচিত হবে, তার রোগের জন্য ট্রিগার ফ্যাকটর চিহ্নিত করা এবং যতদূর সম্ভব তা এড়িয়ে চলা। আপনি নিয়মিত সঠিক ওষুধ, ওষুধের সঠিক মাত্রা এবং পদ্ধতির মাধ্যমে হাঁপানি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এনে অবশ্যই স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন। তবে একজন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা নিলে ভালো।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট