রক্তকরবীর চো‌খে নিদান পলিক্লিনিক এন্ড ডাইগনেস্টিক সেন্টার পূজা পরিক্রমা ২০১৭


বুধবার,১৮/১০/২০১৭
682

কাল এক অভিনব অভিজ্ঞতার সামিল হয়েছিলাম !…বছরের আর পাঁচটা দিনের থেকে কালকের দিনটা ছিল একেবারে আলাদা, স্বমহিমায় ভরপুর !
শহরের ভুরি ভুরি টাকার জাঁকজমকে শারদ দিনে দেবীর অর্চনা ( আমার বাংলা মায়ের অনেক মুখ যখন অভুক্ত, গায়ে জড়ানো মলিন চীড় ! ) আর তথাকথিত সেলিব্রিটিদের পূজো পরিক্রমায় ( সম্মাননার এমন হিড়িক আজকাল বড় বেড়ে গেছে ! ) একটা ঠান্ডা লড়াই এ নিজেদের উৎকর্ষতা প্রমাণের আপ্রাণ চেষ্টা…এ সব বাঁধা গতের পট ছেড়ে, রাজারহাট উপনগরীর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ‘একতা সম্প্রচার’, ‘বাংলা এক্সপ্রেস’ এবং ‘নিদান’ এর যৌথ আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম প্রত্যন্ত নয়, খানিক শহর ছোঁয়া গ্রামের কয়েকটি পূজো মণ্ডপ পরিক্রমায় । কোথাও বাঁশের মণ্ডপে, কোথাও ঠাকুর মন্দিরের বাঁধানো বেদীতে, দেবী বন্দনার সাদামাটা আয়োজন । বেশীর ভাগ মণ্ডপে সাবেকী ঢঙে দুর্গা সপরিবারে পুরোপুরি মৃন্ময়ী রূপে…মাটির সাজ, মাটির চালচিত্র, মাটির গয়না ।কাগজের অস্ত্র দেবীর দশ হাত জুড়ে…তাতে অসুর নিধন হয়তো খানিক কমজোরী হয় (?) তবে তা পরিবেশ-বান্ধব ভাবনার প্রকাশ বটে !…কোথাও পুরাণ ছুঁয়ে পঞ্চ দুর্গা, কোথাও রামায়ণের কথকতা, কোথাও প্রাকৃতিক এবং সামাজিক পরিবেশের সুরক্ষায় আপামর জনকে সচেতন করতে কিছু চিত্রলিপি, কোথাও পুরুষের সাহায্য ছাড়াই চিন্ময়ী দুর্গাদের দৃপ্ত আয়োজনে, মৃন্ময়ী মায়ের আরাধনা !…জাতি ধর্ম নির্বিশেষে একান্ত অসাম্প্রদায়িক বাতাবরণে উৎসব দিন উদ্ যাপনের ভাবনা যা আজকের সময় ছুঁয়ে সামাজিক শান্তিরক্ষার নিরিখে আমাকে আশ্বস্ত করে । আরও লক্ষ্যনীয়…কোনো বাড়তি আড়ম্বর নেই, আছে শুধু অপার আম্তরিকতা ! কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, যে যার সামর্থে অর্থ দিয়ে সমবেতভাবে সাজিয়েছে এক একটি আনন্দের আধার !
রক্তদান, দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্রবিতরণ, অনাথ আশ্রমের মানুষদের অন্ন সংস্থান, এমন সব কল্যাণময় কাজ সারা বছর ধরেই করে চলেছে বাংলা মাটির মানুষজন !

আমি গর্বিত, আমি আশান্বিত, দুর্গা পূজোর মতো মিলন উৎসবের সোপান বেয়ে, শহর গ্রাম নির্বিশেষে আমরা এগোচ্ছি, আমরা পূর্ণ হচ্ছি মানবিকতার, পরিশীলিত মননের চর্চায় !…

…..পাঠালা আমার অনুভূতি- রক্তকরবী

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট