উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেকোন মানুষের চোখে জল এনে দেয়। কলকাতা ও তার আশে পাশের এলাকাতে বৃষ্টি সাধারণ মানুষ কে সমস্যার মুখে ফেলেছে। চাষ আবাদ এলাকার চাষের ক্ষতি সহজেই অনুধাবন যোগ্য সব্জির বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতি। এতত সত্যেও এমন বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটে যা সাধারণ মানুষের জনজীবনে প্রভাব পরে। প্রকৃতির এই নির্মম খেলার সাক্ষী থাকল রাজারহাট বাগু গ্রামের একরাত্তির কন্যা অদিতি কলি, এখনো আতঙ্ক থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেনি মা মধুমিতা কলি। সেদিন ঘটনা কি এমন ঘটেছিলো যে এমন পরিস্থিতি? মধুমিতা কলি বলেন, ‘মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখলাম’ কিছুতে ভুলতে পারছি না। সন্ধ্যায় ঝির ঝির বৃষ্টি পরতে পরতে একসময় বৃষ্টির পরিমান বাড়ে, সঙ্গে বাচ পরার আওয়াজ, আমার মেয়েটি বিদ্যুৎ চমকানো আলোতে আধা আধা ভাবে বলছে মা আয়ো(আলো), মা আয়ো(আলো), হঠাত প্রচন্ড আওয়াজ, কিছু বোঝার আগেই চারিদিক অন্ধকার দেখতে লাগলাম, জ্ঞান ফিরে হতবাক হয়ে মেয়ে কোথায় জানতে ঘর থেকে বেড়িয়ে রান্না ঘরে দিকে দৌড়ালাম, মেয়েকে নিয়ে তখন আমার পাশের এক ননদ জড়িয়ে চেপে ধরে শুয়ে আছে। প্রায় ঘন্টা পাঁচেক কোন কিছু শুনতেই পারছিলো না ননদটি এমন কি কিছু দেখতেও পারছিলো না।মেয়ের কান্না অনেকক্ষন থামাতেই পারছিলাম না। পরিবারের সবাই অক্ষত থাকলেও বাড়ির সব ইলেক্ট্রিক তাড় পুড়ে গেছে। ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যের অনেক কিছু শেষ হয়ে গেছে। পাশের নারিকেল গাছে বাচটি পড়েছে জানা গেলো নারিকেল গাছের অবস্থা দেখে। এদিন এলাকার একাধিক বাড়িতে এমন ক্ষতি হয়েছে বলে এলাকা থেকে খবর।
বর্তমান সময়ে উত্তরবঙ্গের জেলা গুলিতে বন্যার কাছে সাধারণ মানুষের অসহায় আত্মসমার্পণ এর নিদারুণ করুন চিত্রের কাছে এই ঘটনা সামান্যই। বিহারের নদী পোল ভেঙে নদীর জলের স্রোতে হারিয়ে যাওয়ার পরিবারের ছবি ভাইরাল। তাসত্ত্বেও মৃত্যুকে কাছে থেকে দেখা,নিজের সন্তানের প্রতি মায়ের মাতৃত্ববোধ, পরিবারের সুনিশ্চিতকরন, সবমিলিয়ে প্রকৃতির একখন্ড বিভীষিকা কে দেখতে চাই…………………………?