২০১৩ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের স্কোয়াডে যোগ দিয়েছিলেন মাওবাদী নেতা। কিন্তু মঙ্গলবার আবার আচমকা প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে এসে ৩৪ বছরের ওই মাওবাদী, নাম হাজারী এমবেরেম ওরফে বিজয় এবং প্রেমিকা ঝাডখনডের সিংভূম জেলার বাসিন্দা নাম রানী মুন্ডা দুজনেই দুটি রাইফেল সহ ধরা দিলেন পুলিশের শীর্ষ অধিকর্তার হাতে।
জলপাই রঙের পোশাকে দুজনকেই হাজির করা হয় পুরুলিয়া পুলিশ প্রশাসনের সামনে। বিজয় যে স্কোয়াডে র কমান্ডার ছিলেন রানী মুন্ডা সেই স্কোয়াডে র সদস্য ছিল বলে এমনটাই জানা যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর যে দলমা স্কোয়াডে কমান্ডার পদে কাজ করত বিজয়। কিন্তু নিরাপদ জীবনের খোঁজে সে এবং তার প্রেমিকা ধরা দেয় পুলিশের কাছে। পুরুলিয়া পুলিশ সুপার জয় বিশ্বাস বলেন যে ওই মাওবাদী নেতা বাংলা, বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড বর্ডার রিজিওনাল কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করতেন হাজারী এমবেরেম ওরফে বিজয়।
পুরুলিয়ার মাহুলিটাড্ গ্রামের বাসিন্দা হাজারী ২০০৭ সালে মাওবাদী দলে যোগ দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন কাজ করার পর অবশেষে ২০১০ ধরা পড়েন বিজয় এবং ২০১২ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে বেশ কিছু দিন চাষবাস করে জীবন যাপন করছিলেন কিন্তু ২০১৩ নাগাদ আবার উধাও হয়ে যায় ওই মাওবাদী নেতা।
পুলিশের এসপি জানান দলমা স্কোয়াডের কোণঠাসা অবস্থা দেখে আমরা বারবার তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি এবং তার পরই তারা ধরা দেয়। এসপি বলেন “ওই দুজন সম্পর্কে আমাদের এবং সি আর পির কোবরা বাহিনীর কাছে কিছু তথ্য এসে ছিল। পুরুলিয়ার বলরাম পুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুদীপ মাহাতো বলেন ” অযোধ্যা স্কোয়াডের সাবেক সদস্য হাজারী আত্মসমর্পণে আমারা খুব খুশি “।