র‌বিবা‌রে ছু‌টির দি‌নে ভু‌য়ো ব্যাঙ্ক জা‌লিয়া‌তি


মঙ্গলবার,০১/০৮/২০১৭
909

সত্যজীৎ মন্ডল---

১৯৯০ সালে শুরু হওয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগানার মূলত রাজারহাট এবং ভাঙ্গড় কে নিয়ে যে পরিকল্পিত আবাসন ও বানিজ্য নগরী গড়ে তোলার ইচ্ছা ব্যাক্ত হয়েছিলো আজ তার অনেকটাই রুপকথার মত। মূলত কৃষিকাজ এবং জলাভূমির উপর নির্ভরশীল মানুষের জীবনযাত্রা রাতারাতি এমন ভাবে পরিবর্তন হয়ে যাবে তা হয়তো এলাকার মানুষ এত সহজে বুঝে উঠতে পারেনি। বড় বড় আবাসন, শপিংমল, রেস্টুরেন্ট, পার্ক, বিনোদন ভবন, প্রভৃতির এত কাছাকাছি তা ভাবনার বাইরেই ছিলো। এত কিছু হাতের কাছে পেয়ে কে না চায় নিজেকে পরিবর্তন করতে? তাই আধুনিক সভ্যতা কে আঁকড়ে ধরতে এক শ্রেনীর মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়লেন। আবভাবে আধুনিক হল বটে কিন্তু শিক্ষায়,কৃষ্টিকালচারে? কিছু মানুষের পরিবর্তন আসলেও, এখনো অনেকেই আছে এক বাঁও জলে। তার প্রমানও আছে। দঃ ২৪ পরগণার কাশীপুর থানার লাঙ্গলবেঁকী গ্রামের ভূদেব মণ্ডল, ছোটবেলা থেকে চাষের জমিতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে টাকার মুখ দেখেছিলো। নগরায়নের মুখে জমি বিক্রির টাকা হাতে এসেছিলো। ব্যঙ্কে জমাও রেখেছিলো। কিন্তু বেশকিছুদিন ধরে এই সুযোগ নিয়ে কিছু চিটার ব্যঙ্ককর্মির পরিচয় দিয়ে টাকা হাতানোর খেলায় মেতে উঠেছে। বেছে নিয়েছে রবিবার কে। এই নিয়ে বিভিন্ন ভাবে সরকার গ্রাহক পরিষেবার উদ্দেশ্যে জনসচেতনা মূলক বিজ্ঞাপনও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ফল অথৈ জলে। রবিবার এমনি ব্যঙ্ক কর্মির পরিচয় দিয়ে ভূদেব মণ্ডলের কাছে ফোণ আসে। ব্যবসার জন্য নিকটবর্তি বাজারে তখন, তাই ফোণ আসে ঘুরেফিরে বাড়িতে। বাড়ির মহিলাদের বুঝিয়ে প্রোয়জনিয় তথ্য নিতে সময় লাগেনি শিক্ষিত চোরের। কিন্তু সময় গড়াতে হুশ ফেরে। জালিয়াতির গন্ধ পেয়ে এবার সাবধান হওয়া। একাউন্ট বন্ধকরা, ব্যালেন্স চেক করার জন্য হুর পরে কিন্তু বাঁধ সাদে রবিবার। শেষে সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করা দুলক্ষ বিশ হাজারের পরিস্থিতি কি তা জানার জন্য। শেষবেশ ব্যঙ্কের ম্যনেজারের সাথে কথা বলে জানা যায় সংরক্ষিত আছে ভূদেব মন্ডলের মূলধন। ম্যানেজার সাহেব নিদান দেন যত তাড়াতাড়ি পারেন টাকা তুলে নিন। কিন্তু টাকা এখনো এখানেই আছে কি ভাবে? সেই প্রশ্নের উত্তরে জানা যায়, একাউন্টের সাথে যে ডেবিট কার্ড দেওয়া হয়েছিলো,এবং ডেবিট কার্ডের পাসওয়ার্ড, নেওয়ার জন্য যে একটি চিঠি্র খামের মত দেখতে গোপন পাসওয়ার্ড রক্ষিত খাম দেওয়া হয়েছিলো ভদ্দরলোক সেটি উপর দিয়ে স্কেচ করে নষ্ট করে ফেলেছিলো। ব্যঙ্কে জানাতে গেলে ব্যঙ্ক ম্যানেজার ধমক দিয়ে বলেছিলেন, যাও তোমাকে আর এ টি এম ব্যবহার করতে হবে না। তখন খারাপ লেগেছিলো,আক্ষেপ নিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছিলো মিস্টার মণ্ডল সেদিন। কিন্তু আজ সেই বিকল এ টি এমের জন্যই এত গুলো টাকা রক্ষা হলো। তবুও যে শিক্ষাটা আজ পেলেন তা আর ভুলবার নয়। একই ভাবে আনন্দ মণ্ডল, অমিয় নস্কর বা নাজানা এমন মণ্ডলের নস্করের পাওয়া শিক্ষা কবে সার্বজনিন হবে? সেটাই লক্ষ টাকার প্রশ্ন. জাগো গ্রাহক জাগো!

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট