পশ্চিমবঙ্গ বিভিন্ন জেলা জুড়ে “মরন” ভ্যানের দাপাদাপি , মরন ভ্যান শুনে অবাক হলেন ! অাসলে এই যানবাহনটি মটর ভ্যান বলা হলেও সাধারন মানুষ একে “মরন ভ্যান” বলে থাকে , তার কারন প্রতি দিনই অসংখ্য মানুষ এই “মটর ভ্যান” এর কবলে পড়ে অাহত হন । এই ভ্যান গুলি সাধারনত জল তোলার অতি সাধারন “মটর” দিয়ে তৈরী হয় । এই জন্য এই ভ্যান গুলি “মটর ভ্যান” নামে পরিচিত । পুরো যানবহনটি পুরানো লোহা ও মটর সাইকেলের বিভিন্ন অংশ দিয়ে তৈরী । ভ্যানের সমস্ত যন্ত্রাংশই পুরানো , ফলে ভ্যানটি তৈরী করতে কম খরচ লাগে । এর ফলে পরিবেশে বিপুল শব্দ দূশণ ও ধোঁয়া দূষণ হয় । এই ভ্যান গুলোর কোন পোক্ত ব্রেক সিস্টেম নেই , যার ফলে হটাৎ ব্রেক করলে তা নির্দিষ্ট স্থানে থামতে পারে না । ভ্যান গুলি যে শুধুমাত্র মাল পরিবহন করে তাই নয় , এগুলি মানুষ চলাচলের পরিবহন হিসাবেও ব্যাবহারিত হয় ।এই ভ্যান গুলি সম্পর্কে প্রশাসনের কাছে জানতে চাইলে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় এই ভ্যান গুলি সম্পূর্ন বেঅাইনি ভাবে চলাচল করে । রাজনৈতিক নেতারাও এই বিষয়ে মাথা গলান না কারন যারা মটর ভ্যান চালান তারা তো তাদের একটি বড়ো ভোট ব্যাঙ্ক !
এখন প্রশ্ন হল এই ভ্যান এতটা ভয়ানক হলেও সাধারন মানুষ ব্যাবহার করে কেন ? বাংলা এক্সপ্রেস, এই প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারল য়ে , ভ্যানগুলি ব্যবহারের খরচ অন্যান্ন পরিবহন থেকে অনেক কম , ধরা যাক যে মাল ট্রাকে পরিবহন করতে খরচ ৫০০ টাকা সেই মাল মটর ভ্যানে পরিবহন করতে খরচ ১৫০ টাকা বা কেও যদি ১০ কিমি অটো বা বাসে যাতাযাত করে তবে তার খরচ ১০ টাকা কিন্তু সে যদি মটর ভ্যানে যাতাযাত করে তবে তার খরচ ৬ টাকা । এই জন্যই জীবনের ঝুকি থাকলেও সাধারন জনগন মটর ভ্যান ব্যাবহার করতে বাধ্য থাকেন ।