স্পেনের ‘হাইপার রিয়্যালিস্টিক’ বেবি ডলের কথা ইতিমধ্যেই শিরোনামে এসেছে। সেখানকার এক ‘ক্লোন’ ফ্যাক্টরিতে নাকি ক্রেতা নিজের পছন্দমতো বেবি ডলের ত্বক,চুলের রং বা হাত-পায়ের গড়ন অর্ডার দেন। কখনও বা ব্যবহার করা হয় সত্যিকারের কোনও শিশুর ছবি। শিল্পসত্তা ফুটে ওঠে বেবি ডলের মধ্যে। আর সেগুলিই মানুষের চাহিদামতো বিক্রি হয় হাজার হাজার টাকায়।
এবার ভাবুন, কোনও পুতুল নয়, রক্তমাংসের এক জন মানুষের ক্ষেত্রে ঘটেছে ঠিক এর উল্টো ঘটনা! অর্থাৎ, মানুষটির ত্বক, চুলের রং, চোখের মণি, হাত-পায়ের গড়ন একেবারে একটি পুতুলের মতো। হ্যাঁ, কসমেটিক সার্জারির মাধ্যমেআজকাল এমন অনেক কিছুই হচ্ছে। কিন্তু সেসব কিছু না করেই এক জন মানুষ যে হুবহু একটি পুতুলের মতো দেখতে হতে পারে, তা দেখলে আপনি তাজ্জব হবেন!
আসল ঘটনাটা বলা যাক।
‘ডাকি থট’(Ducki Thot)। টুইটার বা ইনস্টাগ্রামে এই নামটি টাইপ করলেই তাঁর ছবি দেখতে পাবেন। গায়ের চামড়ার রং চকোলেট গলানো। চুল, চোখের মণি, ঠোঁট, হাত-পায়ের গড়ন হুবহু বার্বি ডল। পেশায় এক জন সুপারমডেল। নাগরিকত্ব দক্ষিণ সুদানের।
কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘ডাকস আফটার ডার্ক’(Ducks after Dark)। ছবির ক্যাপশন দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। তার চেয়েও বেশি হতবাক হয়েছিলেন, ছবিটিকে এক জন ‘মানুষ’-এর ছবি হিসেবে মেনে নিতে। অবাক হওয়ার কথা গোপনও করেননি কেউ। সুপারমডেলেরছবির নীচেই অসংখ্য মানুষ লিখেছেন, ‘আপনি কি মানুষ, না একটি কালো বার্বি ডল?’
সত্যিই ‘ডাকি থট’-এর ছবি দেখলে বোঝা দায়! নিজের চোখকে অবিশ্বাস করাও মুশকিল। সুপারমডেলের এমন ‘পুতুলরূপী’ অবয়বকে দেখে ফলোয়ারদের অনেকেই তাঁকে তাঁরই মতো দেখতে পুতুল তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন।ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার টেলিভিশন শো ‘অস্ট্রেলিয়াজ নেক্সট টপ মডেল’-এ অংশগ্রহণ করে খ্যাতি অর্জন করেছেন এই সুপারমডেল।
পুতুল খেলার বয়সে ‘বার্বি’-র মতো দেখতে হতে অনেক মেয়েরই সাধ হয়। আবার ‘বার্বি’-র পুরুষসঙ্গী ‘কেন’-এর চেহারাও অনেক ছেলেরই পছন্দ। কিন্তু সেই সবটাই তো কল্পনা। ‘ডাকি থট’ যেন সেই সমস্ত কল্পনারই জলজ্যান্ত উদাহরণ!