হিজাব ছাড়া ছবি আপলোড করেছেন ইরানের এক অভিনেত্রী। এ অপরাধের কারনেই ভয়াবহ আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। কিন্তু এমন সমস্যায় পড়তে হবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি ইরানের অভিনেত্রী সাদাফ তাহেরিয়ান। শেষ পর্যন্ত প্রাণভয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন তিনি।
ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে তার হিজাবহীন ছবি দেখার পর থেকেই তীব্র এবং কুত্সিত ভাষায় তাকে আক্রমণ করেন সে দেশের মানুষজন। শুধু সাধারণ মানুষ নন, দেশের সরকার এবং মন্ত্রিদের একের পর এক মন্তব্যে অত্যন্ত ভয় পেয়ে যান সাদাফ। যদিও ছবি আপলোড করার আগে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, হয়তো এর জন্য কিছু আক্রমণাত্মক মন্তব্য শুনতে হবে। তবে তা যে এমন আকার ধারণ করবে তা ভাবেননি তিনি। সাদাফের সমর্থনে আরও এক অভিনেত্রী চেকামে চমন ফেসবুকে পাল্টা মন্তব্য করেন। এর জন্য তাকেও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে ইরানের সংস্কৃতি মন্ত্রী হোসেন নওশাবাদি প্রকাশ্য সভায় বলেন, ‘আমি মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে বলছি, এই দুই অভিনেত্রীকে আর অভিনয় করতে দেওয়া হবে না। তাদের অভিনেত্রী বলে গণ্যই করা হবে না, তারা সেই অধিকার হারিয়েছেন।’
এখানেই শেষ নয়, সাদাফের টিভি শো পর্যন্ত নির্ধারিত সময় থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ক্রমাগত হুমকির কারণে সাদাফ-ও আর বাড়িতে থাকার সাহস দেখাননি। তড়িঘড়ি সংযুক্ত আরব আমিরাতের চলে যান। পরে এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি শান্তিতে থাকতে চাই। নিজের মতো করে বাঁচতে চাই। তাই দেশ ছাড়লাম। আমি দেশের মানুষের থেকে এমন ব্যবহার প্রত্যাশা করিনি।