খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বলখের মাজার-ই শ রিফ শহরে ভারতীয় কনস্যুলেটে সন্ত্রাসী হামলা চেষ্টার কয়েক বেশ কয়েক ঘণ্টা পরও হামলাকারীদের সঙ্গে আফগান বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের তীব্র লড়াই চলছে। দেশটিতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অমর সিনহার বরাতে সোমবার এনডিটিভি জানিয়েছে, সেখানে ভারতীয় কনস্যুলেটের সব কর্মী নিরাপদ আছেন।আফগানিস্তানের বলখ প্রদেশের গভর্নর আত্তা মুহাম্মদ নুর ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন জানিয়ে সিনহা বলেন, “তীব্র লড়াই চলছে।”রোববার রাত সোয়া ১১টায় মাজার-ই শরিফে ভারতীয় কনস্যুলেটে সন্ত্রাসীরা হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এ সময় বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।অন্ততপক্ষে দুজন হামলাকারী কূটনৈতিক মিশনটিতে হামলার চেষ্টা করেছিল বলে জানা গেছে। তবে হামলাকারী দলটিতে চার থেকে পাঁচজন হামলাকারী রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতীয় ও আফগান নিরাপত্তা বাহিনী যৌথভাবে হামলাকারীদের সঙ্গে বন্দুক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি কন্টিনজেন্ট ও ভারতীয় ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্ত পুলিশ বাহিনী (আইটিবিপি) নস্যুলেটের কাছে একটি ভবনে আশ্রয়ে নেওয়া হামলাকারীদের গুলিবর্ষণের জবাব দিচ্ছে।রোববার রাত থেকে হামলাকারীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর বন্দুক লড়াই চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চার থেকে পাঁচ হামলাকারীর মধ্যে সম্ভবত দুই থেকে তিনজন সক্রিয় থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।সূত্রগুলো জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুক লড়াইয়ে দুই হামলাকারী নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।কর্মকর্তারা জানিয়েছে, হামলা প্রচেষ্টার শুরুতে সন্ত্রাসীরা কনস্যুলেট ভবনের পেছন থেকে রকেট চালিত গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। কিন্তু গ্রেনেডটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে কনস্যুলেট ভবনের ১০০ মিটার দূরে একটি কম্যুনিটি সেন্টারে গিয়ে আঘাত হানে।
মাজার-ই শরিফে ভারতীয় কনস্যুলেটের কাছে অভিযান চলাকালীন আফগানিস্তানের কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্সের (কিউআরএফ) সদস্যরা কথা বলছেন। ছবি: রয়টার্স মাজার-ই শরিফে ভারতীয় কনস্যুলেটের কাছে অভিযান চলাকালীন আফগানিস্তানের কুইক রিঅ্যাকশন ফোর্সের (কিউআরএফ) সদস্যরা কথা বলছেন। ছবি: রয়টার্স কনস্যুলেট ভবনটি লক্ষ্য করে চার-পাঁচটি রকেট ও অসংখ্য গুলি বর্ষণ করা হলেও ভবনটিতে একটিও গুলি লাগেনি বলে জানিয়েছেন তারা।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো পক্ষ হামলার দায় স্বীকার করেননি।ভারতীয় পাঞ্জাবের পাঠানকোট শহরে দেশটির বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা শুরু হওয়ার একদিন পর এ হামলার ঘটনা ঘটলো।তবে কর্মকর্তাদের বরাতে আইএএনএস বলছে, হামলাকারীর সংখ্যা ৮ থেকে ১২ জন। তাদের প্রত্যেকের হাতেই অ্যাসল্ট রাইফেল রয়েছে এবং সবাই সুইসাইড ভেস্ট পরিহিত।এরআগেও দেশটিতে ভারতীয় কনস্যুলেট হামলার শিকার হয়েছে। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানো হয়। ওই দুই দফা হামলায় ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।২০১৪ সালের মে মাসে হেরাতে ভারতীয় কনস্যুলেটে হামলা চালানো হয়।