খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ শীতের এই সময়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময়ে সবচাইতে বেশি দেখা যায় ঠাণ্ডা, জ্বর ও সর্দির সমস্যা। সেই সাথে বাড়তে পারে ডাস্ট অ্যালার্জি এবং কোল্ড অ্যালার্জির প্রকোপ। অনেকের আবার এ সময়ে টনসিলে ব্যাথা হয়, বেড়ে যেতে পারে সাইনুসাইটিসের সমস্যাও। অন্য দিকে পেশীতে টান লেগে ব্যাথা হতে পারে এবং পুরনো ব্যাথাগুলো বাড়তে পারে।
ঠাণ্ডা এবং সর্দির সমস্যায় নিজেকে শীত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে ।অনেকেই দেরি করে সন্ধ্যার দিকে বাথরুমে করে থাকেন। তা না করে যত দ্রুত সম্ভব বাথরুম করে ফেলতে হবে। বাথরুমের সময়ে খুব বেশি ঠাণ্ডা বা গরম জল ব্যবহার না করে কুসুম গরম জল ব্যবহার করাটা ভালো।
ডাস্ট এবং কোল্ড অ্যালার্জিতে অনেকেই ভুগে থাকেন। এর জন্য বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ে ভালো করে নাকমুখ ঢেকে বের হবার পরামর্শ দেন ডাক্তার।
শীতে গলা ব্যাথার সমস্যা প্রায় প্রতিটি মানুষেই দেখা যায়। ডাক্তাররা বলেন, এক্ষেত্রে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গরম জল পান করাটা উপকারি। টনসিলের ব্যাথারও উপশম হয় এভাবে।
ঠাণ্ডা জ্বর হলে চিকেন স্যুপ খাওয়াটা বেশ উপকারি। কারণ এতে শরীরে তরলের অভাব পুরন হবার পাশাপাশি শরীর অনেকটা পুষ্টি পায়। এতে আদা এবং রসুন দিলে সেগুলোও আপনাকে সুস্থ করে দিতে সাহায্য করে। আর অবাক হলেও সত্যি, বাইরে থেকে কেনা স্যুপ খাওয়ার চাইতে এই স্যুপ বাড়িতে তৈরি করে খাওয়ায় তাহলে আপনার সুস্থতা আসবে দ্রুত। গবেষণাতেই পাওয়া গেছে এটা।
ঊরু এবং পায়ের পেশীতে টান লেগে ভীষণ ব্যাথা পান অনেকেই। মূলত ডিহাইড্রেশন, পায়ে রক্ত চলাচলে সমস্যা, পেশীর অতিরিক্ত ক্লান্তি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি ইত্যাদি কারণে এটা হয়। ডাক্তাররা জানান, ঠাণ্ডা থেকেও এটা হতে পারে এবং ঠাণ্ডার কারণে পেশীতে টান পড়লে শরীরের সে অংশটা ঢেকে উষ্ণ রাখতে হবে, তা ঠাণ্ডা হতে না দেওয়াই ভালো। এছাড়াও সাবধানে মাসাজ এবং স্ট্রেচিং করা যেতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।