ছেঁড়া খাতার ধূসর পাতায়
নামটি ছিল তার লেখা,
স্মৃতির রঙ্গে ফ্যাকাসে হয়ে,
গিয়েছিল প্রায় মুছে ;
হঠাৎ করে নাড়াচাড়ায়
পৌঁছে গেলাম ফ্ল্যাশব্যাকে….
এক সোনাঝরা রোদে,
কাজের ফাঁকে ফাঁকে,
তার এদিক-ওদিক চাহুনি
ব্যস্ততার শেষ নেই ;
বোগেনভিলিয়ার কোলে তার কটেজ,
অর্ধ্বনির্মিত ;বৃষ্টি শুরুর আগে
নিপুণতায় তাকে করতে হবে সমাপ্ত,
দক্ষ কারিগর সে,
তার কারিগরি যতই দেখি
ততই হই মুগ্ধ;
চঞ্চল, কর্মঠ, স্ফূর্তির ভাণ্ডার
কি অসম্ভব নিষ্ঠা তার কাজে!
এই হল আমার -চ্যাপলিন ;
আদর করে নাম রেখেছিলাম তার,
বড় সোহাগের ছোট্ট সহচর আমার,
ছোট্ট ঠোঁট, মায়াবী দৃষ্টির
সেই ক্ষুদ্র বাবুই পাখিটি,
চেহারায় যতই ছোট হোক,
কর্মপটু,গুণের ভান্ডার;
আজ সে কোথায় জানি না,
কিন্তু তাকে নিয়ে অনেক ছবি,
আমার খাতার পাতায়,
ইঙ্গিতে হত কতো না কথা,
নিঃশব্দে চলতো বার্তালাপ,
ছেঁড়া খাতার ধূসর পাতায়
রয়েছে আমার চ্যাপলিন,
ইহ জগতে সে থাক বা না থাক।
মৌমিতা দত্ত