খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ ইতালীয় স্থাপত্যের অনুকরণে তৈরি তিনতলা বাড়ি। তৈরি হয়েছিল ১৮৩৩ সালে। তখন ছিল আগরা ব্যাঙ্ক। পরে ১৮৬৮ সালে ব্রিটিশ সরকার ওই বাড়ির বেশির ভাগ অংশই অধিগ্রহণ করে নিলে সেখানে কারেন্সি দফতর তৈরি হয়। তখন থেকেই ওই বাড়িটির নাম হয় কারেন্সি বিল্ডিং। পরে ওই ভবনেই তৈরি হয় ব্রিটিশ সরকারের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সে সময়ে ব্রিটিশদের অধীনে থাকা নানা দুর্মূল্য রত্ন, মণিমাণিক্য সংরক্ষিত হতো ওই বাড়িতে। স্বভাবতই বাড়িটি ছিল কড়া নিরাপত্তায় মোড়া। ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত কারেন্সি বিল্ডিং-ই ছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। স্বাধীনতার পরে ওই ভবন থেকে কারেন্সি দফতর উঠে যায়। পরে ১৯৯৮ সালে বাড়িটি হেরিটেজ চত্বর হিসেবে চিহ্নিত হয়। ২০০৩ সালে সেটি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অধীনে আসে।ইহুদিদের উপাসনাগৃহ সাধারণ ভাবে সিনাগগ নামেই পরিচিত। এর মধ্যে ম্যাগেন ডেভিড সিনাগগ বিপ্লবী রাসবিহারী বসু রোডে। এটি তৈরি হয়েছিল ১৮৮৪ সালে ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্যের অনুকরণে। অন্যটি পোলক স্ট্রিটের বেথ-এল-সিনাগগ। তৈরি হয়েছিল সিপাহী বিদ্রোহের ঠিক এক বছর আগে, ১৮৫৬ সালে। আঠেরোশো শতকের শেষ থেকেই বাণিজ্যের খাতিরে কলকাতায় আনাগোনা শুরু হয় ইহুদিদের। সেই সময়কার প্রতিষ্ঠিত ইহুদি ব্যবসায়ী ইলিয়াস ডেভিড এজরা (যাঁর নামে এজরা স্ট্রিট) তৈরি করেছিলেন ম্যাগেন ডেভিড সিনাগগটি। দু’টি সিনাগগেই ইহুদিদের বহু স্মৃতিচিহ্ন রয়ে গিয়েছে।ওই তিন সৌধের দু’শো মিটারের মধ্যে ভাঙাভাঙি করতে হলে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অনুমতি প্রয়োজন। মেট্রো কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই অনুমতি চেয়েছেন। এ ব্যাপারে আইআইটি খড়্গপুরকে সমীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। সমীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।এখানেই মহাকরণ স্টেশন করার কথা ভাবা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মিনিবাস কিছু সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে হাওড়ায়। কিছু মিনিবাস বিবাদী বাগে না থেমে সরাসরি ফিরে যাবে।