খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ মহারাষ্ট্র রাজ্যের কর্মকর্তারা শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগের ওজন যখন খুশি আকস্মিকভাবে পরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পশ্চিম এই রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই সপ্তাহ থেকে শিশু শিক্ষার্থীদের ব্যাগের ওজন পরীক্ষা করে দেখবেন তারা নতুন আইন মেনে বইপত্র বহন করছে নাকি তাদের ব্যাগের ওজন আইন ভঙ্গ করছে।
বিবিসি মনিটরিং সংবাদপত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে উদ্ধৃত করে এই খবর দিয়েছে।
এ বছর জুলাই মাসে সরকার ঘোষণা করে যে শিশুদের স্কুল ব্যাগের ওজন ওই শিশুর নিজের শরীরের ওজনের শতকরা দশ ভাগের বেশি হতে পারবে না।
সরকার ৪৪ দফা সুপারিশ জারি করে পরামর্শও দিয়েছে যে কীভাবে শিশুর বইয়ের ব্যাগের ওজন কমানো সম্ভব।
কর্মকর্তারা বলছেন, ভারী স্কুল ব্যাগ বহন করার ফলে শিশুরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে এবং তাদের শিরদাঁড়া এবং হাড়ের জোড় অংশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এইসব পরিবর্তন বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সময়সীমা ছিল ৩০ নভেম্বর যা ইতোমধ্যেই পার হয়ে গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পরিচালক মহাবীর মানে বলেছেন, তারা এই সময়সীমা আর বাড়াবেন না।
তিনি বলেন, আমাদের পরিদর্শক দল ৩-৪ দিনের মধ্যেই স্কুলগুলোতে হানা দেবে এবং বাচ্চাদের স্কুল ব্যাগ ওজন করবে।
রাজ্যের কোনো কোনো স্কুলকে তাদের ক্লাসরুম সুযোগ সুবিধা আরো উন্নত করার নির্দেশ ইতিমধ্যেই দেয়া হয়েছে যাতে শিশুদের পাহাড় সমান বইখাতা কাঁধে করে প্রতিদিন স্কুলে নিয়ে যেতে না হয়। শিক্ষার্থীদের স্কুলে লকার দেবার ব্যবস্থাও করতে বলা হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে যাতে তারা একাধিক শিক্ষার্থী পাঠ্যবই ভাগাভাগি করতে পারে তার সুযোগ সৃষ্টি করে, বা এমনভাবে ক্লাস রুটিন তৈরি করে যাতে প্রত্যেক দিন সব বইখাতা নিয়ে স্কুল যেতে না হয়।