১৯৭১ সালে রাজাকার না থাকলে পাকিস্তান মাত্র তিন মাস থাকত


বৃহস্পতিবার,০৩/১২/২০১৫
686

 খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ    স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ দেশীয় দোসর রা সহযোগিতা না করলে পাকিস্তানি সেনারা ‘দশ মাস নয়, কেবল তিন মাস’ থাকতো। গতকাল বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর আপিল মামলার শুনানির এক পর্যায়ে এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এরা সমর্থন না করলে সিন্ধু পাঞ্জাব বেলুচিস্থান থেকে সেনারা এসে ১০ মাস থাকতে পারতো না। এরা সহযোগিতা না করলে তিন মাস থাকতো’। শুনানিতে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘ঘটনা ঘটেছে এটা সত্য। কোনো আর্মি মুভ করতো না যদি পুলিশ পথ দেখিয়ে দিতো। নিজামীর মতো একটা ইয়াংম্যান পথ দেখিয়ে দিলো। আর আর্মি সে পথ ধরে চললো এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়’। নিজামীর বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড এবং হত্যা-গণহত্যাসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) মোট ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ৮টি অর্থাৎ ১, ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৮ ও ১৬ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয় ট্রাইব্যুনালের রায়ে। এর বিরুদ্ধে আপিলের পর গতকাল বুধবার আসামিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল যুক্তি উপস্থাপন করবেন। প্রমাণিত চারটি অর্থাৎ সাঁথিয়া উপজেলার বাউশগাড়িসহ দু’টি গ্রামে প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষকে গণহত্যা ও প্রায় ৩০-৪০ জন নারীকে ধর্ষণ (২ নম্বর অভিযোগ), করমজা গ্রামে ১০ জনকে গণহত্যা, একজনকে ধর্ষণসহ বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ (৪ নম্বর অভিযোগ), ধুলাউড়ি গ্রামে ৫২ জনকে গণহত্যা (৬ নম্বর অভিযোগ) এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (১৬ নম্বর অভিযোগ) দায়ে নিজামীকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অন্য চারটি অর্থাৎ পাবনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা কছিমুদ্দিন হত্যা (১ নম্বর অভিযোগ), মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়মিত যাতায়াত ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র (৩ নম্বর অভিযোগ), বৃশালিখা গ্রামের সোহরাব আলী হত্যা (৭ নম্বর অভিযোগ) এবং রুমী, বদি, জালালসহ সাত গেরিলা যোদ্ধা হত্যার প্ররোচণার (৮ নম্বর অভিযোগ) দায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ৫ ও ৯ থেকে ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এসব অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি। এগুলোও ছিল হত্যা-গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের উস্কানি ও প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট